বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান

পোশাক শিল্পে অস্থিরতা চলতে থাকলে বিদেশী ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নেবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: বণিক বার্তা

পোশাক কারখানায় আন্দোলন-সংগ্রাম ও অস্থিরতা চলতে থাকলে এ শিল্পের বিদেশী ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, বেতন বৃদ্ধির পরও যদি এরকম চলে তাহলে ক্রেতারা দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।৷তাদের গন্তব্যের কোনো অভাব নেই।

ছোট ও মাঝারি শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে উল্লেখ করে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা যদি মনে করি বায়ারদের কোনো অপশান নেই, তারা এখানে কষ্ট করে হলেও থাকবে তা কিন্তু ঠিক না, যেভাবে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল শ্রীলংকা থেকে, তখন বাংলাদেশে এসেছিল।

আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’র ১৫তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, একটা সেক্টরের বেতন ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি একটি ইতিহাস। তারপরও কিছু কিছু শ্রমিক নামধারী নেতা এটাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের আমি বলব, আপনারা দেশকে ভালোবাসতে শিখেন। এটা কখনো কম না। এটা মালিকদের জন্য একটা কঠিন কাজ। সেখানে তারা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা জড়িয়ে ফায়দা নিতে চাচ্ছে৷।

‘আমাদের শ্রমিক ভাইরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, অত্যন্ত ভদ্র’ উল্লেখ করে বলেন, এ দেশকে আশির দশক থেকে আজ পর্যন্ত নিয়ে আসার জন্য তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আমরা অস্বীকার করি না।

বিজিএমইএর এ সাবেক সভাপতি বলেন, আমরা যখন বিজিএমইএতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলাম, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নতুন বাজারের জন্য একটা প্রণোদনা পেয়েছিলাম। এরপর ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্রণোদনা দেয়া হয়। এসব কারণে নতুন বাজারে আমাদের ২০ শতাংশের বেশী রফতানি সম্ভব হয়েছে৷

তিনি বলেন, ‘প্রতি পাঁচ বছর পর পর নতুন মজুরি নির্ধারণ হয়। ১৯৯৪ সালে প্রথম মজুরি বোর্ড হওয়ার ১২ বছর পর মজুরি নির্ধারণ করা হয়। এর চার বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বললেন, শ্রমিকদের কষ্ট হচ্ছে। তাদের বেতন বাড়িয়ে দিতে হবে। তিনি বললেন, এক হাজার ৬৬২ থেকে তিনি হাজার টাকা করে দিতে হবে।৷ তিন বছর পরে তিনি ওয়েজ বোর্ড করেন, সেখানে তিনি পাঁচ হাজার টাকা করে দেন। তারপর ২০১৮ সালে আবার ওয়েজ বোর্ড হয়।’

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বিদেশী ক্রেতাদের এ মনোভাবের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এখন চাহিদা কমের সময়। সারাবিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে, চাহিদা কমেছে। এখন ক্রয়াদেশও কমে গেছে। এ সময়গুলোতে বায়ারদের অনেক সুযোগ থাকে। তারা যদি কারখানাগুলোতে কোনো সমস্যা দেখে, রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখে তারা অন্যদিকে চলে যাবে। আমরা সেটা চাই না। আমরা অনেক কষ্টে বায়ারদের ধরে রেখেছি।’

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এইচ অ্যান্ড এমের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন