পর্যালোচনা

বিশ্বনেতৃত্ব, জলবায়ু ও মানবাধিকার সংকট: সমাধানের পথ কী

মোহাম্মদ জমির

বর্তমানে বিশ্ব এক অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এটা হচ্ছে বিশ্বনেতৃত্ব। এ সমস্যা প্রকট হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর। ফলে দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন, অনিয়ন্ত্রিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, পরাশক্তিগুলোর উত্তেজনা, বিধ্বংসী অস্ত্রের মতো সংকটগুলো গভীরতর হচ্ছে। 

এসব সংকট উঠে এসেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন ও সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এবার বিতর্কের প্রতিপাদ্য ছিল ‘আস্থা ফেরানো ও বৈশ্বিক সংহতি পুনরুজ্জীবন: সবার শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থিতির জন্য ২০৩০ সালের আলোচ্যসূচি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যকে ত্বরান্বিত করা।’

অধিবেশনে জাতিসংঘ নীতির সঙ্গে সংগতি রেখে প্রস্তাব ও ঘোষণাপত্র পাস করা হয়। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী, বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনার টেবিলে উঠছে না এমন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়গুলো মোকাবেলার দায়িত্বও ছিল নিরাপত্তা পরিষদের।

আলোচনার একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল জাতিসংঘের বর্ধিত বাজেট এবং বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য অর্থায়ন। এ অধিবেশন বিশ্বনেতা, রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকারগুলোকে আগামী বছরের জন্য তাদের অগ্রাধিকারের রূপরেখা এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতার আহ্বান জানানোর সুযোগ দিয়েছে।

এ বছর সাধারণ পরিষদের সভায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর কূটনীতিক ডেনিস ফ্রান্সিস। তিনি তার মেয়াদে বৃহত্তর বহুপক্ষীয়তা ও সমান সুযোগের ওপর জোর দিয়েছেন। ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি অ্যামাজন বনকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে ১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্বনেতৃত্বে ওয়াশিংটনের ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে সমাবেশে ভাষণ দেন। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগ করা প্রয়োজন।’ বাইডেন এটাও মনে করিয়ে দেন যে জাতিসংঘ কেবল শান্তি রক্ষা, যুদ্ধ বন্ধ, মানবিক দুর্যোগ হ্রাসের কাজ করে না, যুক্তরাষ্ট্রের যে নীতি ‘‌বিশ্বজুড়ে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আমরা হয়েছি, এসব মোকাবেলায় আমাদের প্রধান পন্থা গণতন্ত্রকে সমুন্নত’ করার ওপর জোর দেন। 

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি শক্তিশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে কেবল মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ অনুষ্ঠানটি এড়িয়ে যান।

বাইডেন ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষ এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, পরিচ্ছন্ন শক্তিতে বিনিয়োগ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোয় জলবায়ু অর্থায়নে তার প্রশাসনের প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন তিনি। বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘের গুরুত্ব এবং বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র রক্ষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বাধা অতিক্রম করতে বৃহত্তর সহযোগিতারও আহ্বান জানান।

তবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এ অধিবেশন বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কেবল বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ নয়, তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের একটা সুযোগ ছিল।

এটি তার ১৯তম ভাষণ, যা অনুষ্ঠিত হয় ২২ সেপ্টেম্বর বাংলায়। ঠিক যেমনটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছিলেন ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ সালে।

শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চলমান অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে থাকাকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সম্মানে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগদানের পাশাপাশি বিভিন্ন পার্শ্ব বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে বিশ্বের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি গত ১০ বছরে তার সরকারের চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি পরিচালনা এবং সমস্যা কাটিয়ে ওঠার উপায়গুলো খুঁজে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্বনেতাদের।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের উদ্বেগের মতোই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু সমস্যা মোকাবেলায় তহবিলের সুষ্ঠু বণ্টনের জন্য জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ফোরামের অনুরোধগুলো খুব বেশি মনোযোগ পায়নি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া জলবায়ু ন্যায়বিচারের ওপর জোর দিয়ে প্রধান অর্থনৈতিক পরাশক্তি দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনা নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার এবং প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানগুলোর গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।

তিনি জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা প্রদান: ত্বরান্বিত উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং অভিযোজন ও সবার জন্য প্রাথমিক সতর্কবার্তা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সম্মেলনে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ এই এজেন্ডা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যেকোনো গঠনমূলক পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন দিতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আশা করি, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন এবং আসন্ন সংকট এড়াতে তাদের ন্যায্য অংশীদারত্বের বিষয়ে সৎ থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সবার প্রকৃতি, কাঠামো এবং প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সমাধান দরকার, যা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে কাজ করতে পারে।’ তিনি আরো উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ চায় অভিযোজন পাইপলাইন এক্সিলারেটরে অর্থায়ন ও প্রযুক্তি সহায়তা প্রদানের একটি বাস্তব উপায় তৈরি করতে। তিনি বলেন, ‘আমরা আবহাওয়ার পূর্বাভাসের নিয়মিত আপডেট দেয়ার জন্য মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। তিনি বাংলাদেশে ভূমিকম্প মডেলিং নিয়ে একটি প্রদর্শনী মহড়া করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছেন।’

শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক নেতাদের কভিড-১৯-এর মতো ভবিষ্যতের মহামারী মোকাবেলায় সফল কৌশলগুলো বাড়াতে এবং আগের ভুলগুলো থেকে দূরে থাকার জন্য অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করার পরামর্শ দেন।

তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মহামারী প্রতিরোধ, প্রস্তুতি এবং প্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বলেন, ‘সমতা ও সংহতি অবশ্যই আমাদের প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য হবে।’ সেই লক্ষ্য অর্জনের, তিনি পাঁচটি অগ্রাধিকার চিহ্নিত করেছেন।

১. উন্নয়নশীল দেশগুলোয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান; ২, বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে মহামারী নিরীক্ষণ, প্রতিরোধ এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে সংস্থান এবং দক্ষতা সংগ্রহ করা; ৩. সবাই যাতে সাশ্রয়ী মূল্যের এবং কার্যকর মহামারী পণ্য, যেমন ভ্যাকসিন অ্যাকসেস করতে পারে তা নিশ্চিত করা; ৪. প্রযুক্তি এবং জ্ঞান ভাগ করে মহামারী পণ্যের উৎপাদন সম্প্রসারণ করা; ৫. জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে সুবিধা এবং অ্যাকসেস ভাগ করে নেয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরি করা।

‘‌কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা: সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি’ শিরোনামে উচ্চস্তরের পার্শ্ববৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিকের বিষয়ে শেখ হাসিনা তার মতামত বিনিময় করেন। অ্যান্টিগা এবং বারমুডা, বাংলাদেশ, ভুটান, চীন ও মালয়েশিয়া এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এগুলো স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি পরিষেবার জন্য ওয়ান স্টপ সেন্টারের মতো।’ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং মৃত্যুহার কমাতে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্য এবং কভিড-১৯ টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন। পরে অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডহ্যানম গেব্রিয়েসুস স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসিও শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ওপর জোর দেন এবং পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও অপ্রসারণে বাংলাদেশের অবিচল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ তার প্রথম মেয়াদে সরকার গঠন করার পর পারমাণবিক অপ্রসারণ চুক্তি এবং ব্যাপক পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞা চুক্তি অনুমোদন করেছিল।’ 

এছাড়া তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং সাভার নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের আণবিক শক্তি সংস্থাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

ওআইসির অন্যান্য দেশের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে আইনি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে তারা ওআইসি দেশগুলোর কাছে আরো সাহায্য ও সংস্থান চেয়েছে। তারা বলেন, ‘এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বের সমস্যা। বাংলাদেশ তাদের সাহায্য করছে, তবে অন্যান্য দেশেরও এটা নিশ্চিত করা উচিত যে রোহিঙ্গারা নাগরিক হিসেবে পূর্ণ অধিকার নিয়ে নিরাপদে দেশে ফিরে যেতে পারে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য অন্যান্য দেশের উচিত মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।’

প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে অধিক মাছ ধরা এবং অন্যান্য মানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে ভঙ্গুর সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতির হাত থেকে বিশ্বের মহাসাগর এবং নদীগুলো রক্ষায় মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াজ বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন (বিবিএনজে) চুক্তিতে সই করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি গভীর সমুদ্রের সম্পদের নৈতিক শোষণ এবং ন্যায্য ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি বাংলাদেশের ভূমিকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। জোর দিয়ে বলেন, ‘মানবাধিকার ইস্যুগুলো নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে চাপ দেয়ার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ অধিবেশনের পাশাপাশি, শ্রীলংকার রনিল বিক্রমাসিংহে, তিমুর-লেস্তের হোসে রামোস-হোর্তা এবং ডেনমার্কের মেটে ফ্রেডেরিকসেনসহ বেশ কয়েকজন বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করেন। 

সব মিলিয়ে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ আগামী দিনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা এবং এসব সমাধানের পথ নিয়ে আলোচনার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।

মোহাম্মদ জমির: সাবেক রাষ্ট্রদূত

পররাষ্ট্র, তথ্যের অধিকার ও সুশাসন বিশ্লেষক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন