পদ্মা-মেঘনার ইলিশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চাঁদপুরে, যা সাধারণ মানুষের
ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। অনেক নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার
এ মৌসুমে এখনো পদ্মা-মেঘনার ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করতে পারেনি।
গত ২০ মে থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সমুদ্র জলসীমায় নৌযান দিয়ে সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ। দেশের অন্যতম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মাছঘাট। এখন দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইলিশের আমদানি কম। যে কারণে পদ্মা-মেঘনায় জেলেদের আহরিত স্বল্পসংখ্যক ইলিশ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। দুই কেজি ওজনের একটি ইলিশের পাইকারি মূল্য ৬ হাজার টাকা। সেই হিসেবে একটি ইলিশের দাম সাড়ে ৮ কেজি গরুর গোশতের সমান।
শুক্রবার চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশ অনেকটাই নীরব। তেমন কোনো কোলাহল নেই। আগের মতো সরগরম নেই। কয়েকজন ব্যবসায়ী স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার কিছু ইলিশসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ বিক্রি করছেন। পাইকারি বিক্রির জন্য নেই কোনো হাঁকডাক। ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। আড়তে ব্যবসায়ী শ্রমিকদের যেন কোনো কাজ নেই। কেউ বসে আছেন, কেউ ঘুমাচ্ছেন।
ফরিদগঞ্জ থেকে ইলিশ কিনতে আসা মোবারক বলেন, ‘লোকাল ইলিশের দাম অনেক বেশি। ৭০০ গ্রামের দুটি ইলিশ কিনেছি ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে। আরো কেনার ইচ্ছা ছিল। দাম বেশি হওয়ায় সম্ভব হয়নি।’
মেসার্স ভাই ভাই মৎস্য পাইকারি আড়তের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান, ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ইলিশ প্রতি মণ ক্রয় করেছি ৮১ হাজার টাকা মণে। আর ২ কেজি সাইজের ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ২৫ থেকে ২৬ হাজার টাকা। ছোট সাইজের ইলিশ কম।
খুচরা ইলিশ বিক্রেতা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘কিছু ক্রেতা চাঁদপুরের বাইরে থেকে আসেন। পদ্মা-মেঘনার ইলিশ হলে তারা দামের কথা চিন্তা করেন না। বেশি দাম হলেও ক্রয় করেন।’