জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত সুরক্ষায় ঐকমত্য

মোহাম্মদ জমির

১৯৯০ সালের শুরুতে কয়লা ও লৌহের যুগ ছিল। শিল্পপ্রতিষ্ঠান ছিল কোলাহলপূর্ণ ও অপরিচ্ছন্ন, জ্বলন্ত কয়লার ধোঁয়া অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হতো। যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় পূর্বাঞ্চলীয় সমুদ্রতটে জনাকীর্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে। পরিবেশের ক্ষতিকর বিষয়গুলো এরই মধ্যে সহ্যসীমার বাইরে চলে গেছে। ১৯০৪ সালে দেশটির বায়ুদূষণ অ্যাক্ট ১৯৫৫ প্রণয়নের ৫০ বছর পূর্বে এ শহরের প্রশাসকরা মুক্ত বায়ু নিশ্চিতের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বিশ্বে আমেরিকার একজন উদ্ভাবক একটি সাধারণ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন, সূর্যের তাপ কাজে লাগানো, যার ফলে এটি শক্তির অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এ ধারণার ক্ষেত্রে জনসমর্থন আদায়ে এক শতাব্দীরও বেশি সময় লেগেছে, কিন্তু আমরা এখনো টার্নিং পয়েন্টে পৌঁছতে পারিনি।  

গত ১৮ এপ্রিল জাপানে জি৭-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চস্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা  বিশ্বে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রতি গভীর হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে একতার দৃঢ় অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

বৈঠকের সমাপ্তিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৃষ্ট উদ্বেগ, যা বর্তমান বিশ্বকে প্রভাবিত করছে, সেগুলোর আলোকে বিবৃতি প্রদান করা হয়। এছাড়া বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য সম্মিলিত ভূমিকায় তাদের প্রতিশ্রুতি পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ, জীববৈচিত্র্য, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা হ্রাস এবং জাতিসংঘের চার্টার অনুযায়ী আইনের শাসনের ভিত্তিতে অবাধ ও উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক আদেশ বজায় রাখা ও শক্তিশালী করা অন্যতম।

তারা এটিও নিশ্চিত করেন যে তাদের অংশীদারদের সঙ্গে উন্মুক্ত, স্বচ্ছ, প্রাণবন্ত ও টেকসই সমাজ গড়ার কাজ অব্যাহত রাখবেন। যা মানবাধিকার, ন্যায় ও মর্যাদা রক্ষা এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়ের ইঙ্গিত প্রদান করে। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে এবং বৈশ্বিক সম্প্রদায় বিনির্মাণেও তাদের অভিপ্রায় রয়েছে, যেখানে কেউ পেছনে থাকবে না। তারা সব অংশীদারকে এসব বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা পূর্বক উত্তম, অধিক সমৃদ্ধ ও নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

এ প্রসঙ্গ মূল্যায়নে বিশেষভাবে জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনের সম্ভাব্যতা এবং ২০৫০ সালের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং জরুরিভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে জীববৈচিত্র্য ক্ষয় হ্রাস করার বিষয়টি রয়েছে।

সবশেষে জি৭-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণকারী দেশগুলো নিশ্চিত করেছে যে তাদের ‘জ্বালানি খরচ হ্রাস, সক্ষমতা বৃদ্ধি, দ্রুত গতিতে পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং টেকসই জ্বালানি উন্নয়ন ও বিস্তৃতির সংকল্প নেয়া হয়েছে, যখন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানো হচ্ছে।’

এ পদক্ষেপ বৈশ্বিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় কার্বন হ্রাসে গতি আনয়নের পরামর্শ দেয়। তারা বৈশ্বিক জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করা এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজারের তারল্য নিশ্চিতের সংকল্প অনুমোদন করেছে। তাতে যেকোনো দেশকে জ্বালানি রফতানির উদ্দেশ্যসাধনকে ভূরাজনৈতিক বলপ্রয়োগ থেকে প্রতিরোধ করার বিষয়টিও রয়েছে। 

বিশ্বের সমাদৃত মনোভাব আকর্ষণের সঙ্গে তাদের যুক্তি হচ্ছে ‘নিট জিরো অর্থনীতি এবং পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তির জন্য নিরাপদ, প্রাণবন্ত, টেকসই, দায়বদ্ধ, স্বচ্ছ এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন, এছাড়া বৃহৎ আকারে বৈশ্বিক পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সরবরাহ চেইন বৈশ্বিক জ্বালানি স্থানান্তর সমর্থন দেয়।’

এ প্রসঙ্গে বিশ্লেষক ও পরিবেশবাদীরা স্মরণ করিয়ে দেন যে এ ধরনের অঙ্গীকার ২০৩৫ সালের মধ্যে পূর্ণভাবে অথবা প্রধানত বিদ্যুৎ খাতকে কার্বনমুক্ত লক্ষ্য অর্জনের দিকে ধাবিত করে, যা স্পষ্টভাবে সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য এবং সবার জন্য টেকসই জ্বালানি সুবিধা অর্জন নিশ্চিতে সহায়তা করবে। এটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত করে পূর্ণ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি লালন করে। এ প্রসঙ্গে একজনকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে জ্বালানি বাজার স্থিতিশীল রাখার দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে অভীষ্ট উপাত্ত এবং বিশ্লেষণ স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে কথোপকথনের মতোই অত্যধিক গুরুত্ব বহন করে।

জি৭ প্রজ্ঞাপনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে নির্দেশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য হ্রাস এবং দূষণ এ ত্রিমুখী বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব ত্বরান্বিত হওয়ার দিকেও মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়। বৈঠকে এ প্রসঙ্গে আলোচনা জলবায়ু পরিবর্তনে আন্তঃ সরকার প্যানেল বাস্তবায়ন নির্দেশ করে। ফলস্বরূপ এ বৈঠক চলতি দশকে প্যারিস চুক্তি এবং কুনমিং-মন্ট্রিল বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য ফ্রেমওয়ার্ক (কেএমজিবিএফ) বাস্তবায়ন শক্তিশালী এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন কপ২৮ সফল করার ক্ষেত্রে অটল প্রতিশ্রুতি পুনরায় নিশ্চিত করে।

জি৭ বৈঠকের অংশগ্রহণকারী দেশগুলো আন্তর্জাতিক এবং বৈধভাবে আনক্লজের অধীনে দেশের এখতিয়ারভুক্ত এলাকা ছাড়িয়ে সামুদ্রিক জীবগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণে টেকসই প্রযুক্তি  ব্যবহারকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছে।    

বিশ্লেষকরা বৈঠক পর্যবেক্ষণ করে পেয়েছেন শিল্পগত ভিত্তি এবং অবকাঠামোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ উন্নত দেশগুলোর এমন সম্মিলিত পদক্ষেপের ভূমিকায় বিশ্ব আশ্চর্যান্বিত হবে না, যদি কপ২৮ চুক্তির সময়ে ২০২৫ সালের মধ্যে সম্মিলিত বৈশ্বিক গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ শীর্ষ চূড়ায় অবস্থান করে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন তাদের জাতীয়ভাবে সংকল্পবদ্ধ অবদানে ২০৩০ সালের লক্ষ্যগুলো পুনর্বিবেচনা ও শক্তিশালী করা। 

এসব আশার সঙ্গে জড়িত আর্থিক খাতও প্রয়োজনীয় মনোযোগ পেয়েছে। জি৭ অংশগ্রহণকারীরা ২০২৫ সালের মধ্যে জলবায়ু অর্থনীতিতে যৌথভাবে উন্নত দেশগুলোর বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার সচল করার প্রতিশ্রুতি পুনরায় নিশ্চিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে অর্থপূর্ণ প্রশমন তৎপরতা এবং বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার ওপরও জোর দেয়া হয়েছে।  

যা-ই হোক, অভিযোজন প্রত্যাশাসংক্রান্ত অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে স্পষ্টত কম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দ্রষ্টব্য যে ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে জি৭ জলবায়ু অর্থনীতির সম্মিলিত ব্যবস্থা দ্বিগুণ করা ত্বরান্বিতের ক্ষেত্রে ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিযোজন অব্যাহত রাখার অন্তত প্রচেষ্টাটুকু চালাবে। এবং অন্যদেরও একই ভূমিকা রাখার কথা বলবে। জি৭ পুনর্ব্যক্ত করেছে যে গোষ্ঠীগুলোর ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা এটিই প্রচার করে—এগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিকূলভাবে আক্রান্ত হয়। অগ্রিম অভিযোজন এবং জনগণের প্রাণবন্ত অবস্থাকে শক্তিশালী করা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত বিপর্যয়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা জাহির করায় সময়মতো এবং কার্যকর প্রক্রিয়ায় নেয়া পদক্ষেপ ঝুঁকি হ্রাসে ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে পরবর্তী সমর্থন অব্যাহত রাখা হবে। 

তবুও বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশবাদীরা সংখ্যা বিবেচনায় কোনো স্পষ্ট বার্তা পায়নি, যা শুরুতে জলবায়ু প্রশমনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। শুধু কেউ একজন আশা করতে পারে যে এটি শিগগিরই স্পষ্ট করা হবে।

এটি এখানে চিহ্নিত করা প্রয়োজন যে বৈঠকে হওয়া আলোচনা সৌভাগ্যবশত পুনর্ব্যক্ত হয়েছে এবং জরুরিভাবে আশ্বস্ত করেছে শুধু জি৭-এর অঙ্গীকার বলিষ্ঠ করা এবং সবুজ অর্থনীতির ফান্ডের উচ্চাকাঙ্ক্ষী দ্বিতীয় সম্পূরক প্রক্রিয়ায় অবদান রাখার ভিত্তিতে বিস্তৃত করা নয়, সেই সঙ্গে প্যারিস চুক্তি ও কেএমজিবিএফের সারিবদ্ধ অর্থনৈতিক প্রবাহ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো অন্য দেশগুলোকেও একই আহ্বান জানিয়েছে। এটিও প্রত্যক্ষ হয়েছে যে জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন পার্টনারশিপের গুরুত্ব এবং জি৭-এর স্বাগত জানানোর প্রক্রিয়া এক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে অর্জিত হয়েছে। ভারত ও সেনেগালে এ-সংক্রান্ত আলোচনা চলমান রয়েছে।

জি৭-এর ঘোষণাপত্র অনেক দেশের বিশেষ সম্পৃক্তির অনুমোদন দিয়েছে, এর মধ্যে প্যাসিফিক আইল্যান্ড ফোরাম এবং অ্যালায়েন্স অব স্মল আইল্যান্ড স্টেটস (এওসিস) সদস্য রাষ্ট্রগুলো রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মুখে তাদের বেজলাইন এবং মেরিটাইম জোনের স্থিতিশীলতা গুরুত্ব পেয়েছে। ‘এক্ষেত্রে আমরা কপ২৭/প্যারিস চুক্তির সিএমএ৪-এ নেয়া সিদ্ধান্ত সফলভাবে বাস্তবায়নকাজের ক্ষেত্রে শক্ত প্রতিজ্ঞার ওপর জোর দিই, যা ক্ষতি মোকাবেলায় নতুন অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করবে। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে জীববৈচিত্র্য হ্রাস রোধ ও বিরতিতে জরুরি প্রয়োজনের বিষয়টি আমরা পুনরায় নিশ্চিত করেছি।’

বাংলাদেশের কয়েক লাখ মানুষ সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির মুখোমুখি হচ্ছে। যার প্রতিফলন বঙ্গোপসাগর উপকূলে বসবাসকারী মানুষের আর্থসামাজিক জীবনযাত্রায় ফুটে উঠছে। এটি উন্নত দেশগুলোর পুনরায় স্মরণ করা প্রয়োজন জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো যারা সিডস, লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রিস (এলডিসি) তালিকায় রয়েছে এবং দুর্বল রাষ্ট্র যেখানে জনগণের ‍সুরক্ষায় মানুষের নিরাপত্তা এবং টেকসই স্থিতিশীলতা দরকার। এক্ষেত্রে লক্ষ্য নির্ধারণ ও পৌঁছানোর ধরনে নিরপেক্ষ বিবেচনায় অর্থনৈতিক সমর্থন দেয়া উচিত। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাসে এভাবে ধারাবাহিক মান অর্জনে জোর দেয়ার বিষয়টি কয়েকটি দেশ দেখছে, যা এরই মধ্যে জার্মানির মাধ্যমে পরিলক্ষিত হয়েছে।  

এটি বেশ কৌতূহল উদ্দীপক যে জার্মানি সর্বশেষ তিনটি পারমাণবিক চুল্লি বন্ধ করেছে। আণবিক শক্তির ক্ষেত্রেও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ এবং ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সংকট ব্যবস্থাপনার সন্ধান করছে। 

যখন অনেক পশ্চিমা দেশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে পারমাণবিক জ্বালানির ওপর তাদের বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে, জার্মানি তখন দ্রুত পারমাণবিক যুগ সমাপ্তির দিকে এগোচ্ছে। এটি এখানে স্মরণ করা দরকার, ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুর্ঘটনায় বাতাসে রেডিয়েশন ছড়ায়, যা বিশ্বকে আতঙ্কিত করে তোলে। এ ঘটনার পর জার্মানি পারমাণবিক বিদ্যুৎ থেকে সরে আসার অঙ্গীকার করে। প্রাথমিকভাবে ২০২২ সালে এটি পরিকল্পনা করা হয়েছিল, জার্মানির পারমাণবিক প্রস্থান কার্যক্রম এরই মধ্যে একবার স্থগিত হয়। গত বছর রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ হ্রাস পেয়েছিল, বার্লিনের কর্মকর্তারা তখন এ বিষয়ে সমাধানের জন্য একটি পথ অনুসন্ধান করেছে। 

পারমাণবিক ডায়নামিকস বন্ধে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসতে জার্মানি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। জার্মান বিশ্লেষক ও পরিবেশবাদীরা পাঁচ বছর ধরে জার্মানির জ্বালানি চাহিদার বড় অংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে মেটাচ্ছে। ২০১৪ সালে এ ভূমিকা ছিল ৯ দশমিক ৩ শতাংশ, এখন এটি ২৭ দশমিক ৪ শতাংশে পৌঁছেছে।

আমাদের অপেক্ষা করার পাশাপাশি দেখতে হবে কীভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির টাইমলাইন জি৭ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এবং দক্ষিণ এশিয়া বিশেষ করে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার ঘনত্ব থাকা অন্যতম দেশ বাংলাদেশেও বিবর্তিত হয়েছে।

মোহাম্মদ জমির: সাবেক রাষ্ট্রদূত; বৈদেশিক সম্পর্ক, তথ্য অধিকার ও সুশাসনবিষয়ক বিশ্লেষক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন