নগদ অর্থের ৯২ শতাংশই ব্যাংক খাতের বাইরে থাকছে

উচ্চমূল্যের নোটের সহজলভ্যতা মানুষকে ঘরে টাকা রাখতে উৎসাহিত করছে কি?

হাছান আদনান

নগদ অর্থ হাতে রাখার প্রবণতা বেড়েছে মানুষের। কভিড মহামারীর সময় থেকে প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। লকডাউনের সময় দেশে নগদ টাকার চাহিদা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। গৃহবন্দি থাকার সময়ে মানুষ হাতের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান নিশ্চিত রাখতে চেয়েছিল। তবে অতিমারীর সে সময় পেরিয়ে গেলেও নগদ অর্থ ঘরে রাখার প্রবণতা থেকে বের হতে পারেনি অধিকাংশ মানুষ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কয়েকটি ব্যাংকের সাম্প্রতিক তারল্য সংকট ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিভিন্ন গণমাধ্যমে -সংক্রান্ত নেতিবাচক খবর মানুষের মনে ব্যাংকের প্রতি অনাস্থার জন্ম দেয়। ফলে তারা ব্যাপক হারে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে এনে ঘরে জমা রাখে। আবার বাংলাদেশের বর্তমান বাজার ব্যবস্থায়ও নগদ অর্থের চাহিদা ব্যাপক। যেকোনো ডিজিটাল লেনদেনের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করেছে সরকার। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ টাকায় কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। গুটিকয়েক শপিং মল আর হোটেল-রেস্টুরেন্ট বাদ দিলে দেশের কোথাও ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবস্থা নেই। দোকানিরাও চান লেনদেন নগদে হোক। তাছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ হস্তান্তর করলে তার ওপর শুল্ক দিতে হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রতিটি লেনদেনে শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। কারণে সাধারণ মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে এবং নগদ লেনদেন করছে। অসাধু ব্যবসায়ী, অসৎ কর্মচারী এবং চোরাকারবারীরাও ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে আগ্রহী নয়। কারণেও খোলাবাজারে বাড়ছে নগদ অর্থের প্রবাহ। এর ফলে অবারিত হচ্ছে ছায়া অর্থনীতির দ্বার। নগদ অর্থ ঘরে রাখতে উচ্চমূল্যের নোটের সহজলভ্যতা বড় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 

দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের ইস্যুকৃত নোট রয়েছে লাখ ৫৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকার। ১০ থেকে হাজার টাকার নোট আকারে বাজারে পরিমাণ অর্থ রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বাজারে থাকা নগদ অর্থের ৫২ দশমিক ৭৭ শতাংশই আছে ১০০০ টাকার নোট হিসাবে। আর ৫০০ টাকার নোট আকারে প্রচলিত রয়েছে আরো ৩৮ দশমিক ৮০ শতাংশ অর্থ। সে হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট ইস্যুকৃত অর্থের ৯১ শতাংশেরও বেশি এখন উচ্চমূল্যের নোট আকারে প্রচলিত রয়েছে। ৫০০ ১০০০ টাকার নোট উচ্চমূল্যের নোট হিসাবে স্বীকৃত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক ছোট অংকের নোটের তুলনায় উচ্চমূল্যের নোট বেশি ছাপিয়েছে। শুধু ২০২১-২২ অর্থবছরেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১০০০ টাকার নোট ছাপিয়েছে ১৯ কোটি ৩৯ লাখেরও বেশি। বাজারে হাজার টাকার নোটের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। যদিও একই সময়ে ৫০০ টাকার নোটের প্রবৃদ্ধি ছিল দশমিক ৮৯ শতাংশ। বহুল ব্যবহৃত ১০০ টাকার নোটের প্রবৃদ্ধিও ছিল শতাংশের ঘরে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে উচ্চমূল্যের নোট সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে রাখার প্রবণতা বাড়ছে। আবার ঘুস-দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থও কালো টাকা হিসাবে সিন্দুকে চলে যাচ্ছে। হুন্ডিসহ অবৈধ অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রেও ১০০০ টাকার নোটই বেশি ব্যবহূত হচ্ছে। চাহিদা বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকও উচ্চমূল্যের নোট বেশি ইস্যু করছে। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে ছায়া অর্থনীতি (শ্যাডো ইকোনমি) মূল অর্থনীতির চেয়েও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২২ সালের জুন শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইস্যুকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল লাখ ৫৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে লাখ ৩৪ হাজার ৩১৮ কোটি টাকাই ছিল ১০০০ টাকার নোট হিসাবে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মোট ইস্যুকৃত অর্থের ৫২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। একই সময়ে ৫০০ টাকার নোট হিসাবে ছিল ৯৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। মোট ইস্যুকৃত অর্থের ৩৮ দশমিক ৮০ শতাংশ হলো ৫০০ টাকার নোট। যদিও মাত্র পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালের জুনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ইস্যুকৃত ১০০০ টাকার নোটের মূল্যমান ছিল ৭৯ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। ওই সময় ৬১ হাজার ২৯২ কোটি টাকা ছিল ৫০০ টাকার নোটে। যদিও দেশে হাজার টাকার নোটের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। ২০০৮ সালের ২৭ অক্টোবর প্রথমবারের মতো দেশে ১০০০ টাকার নোট ইস্যু করা হয়।

ব্যাংকে এখন উচ্চমূল্যের নোটের চাহিদা অনেক বেশি বলে জানান অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, উচ্চমূল্যের নোট সংরক্ষণ পরিবহন করা সহজ। কারণে বেশি অর্থ তুলতে এসে গ্রাহক ১০০০ টাকার নোট চাইছে। হাজার টাকার নোট সংরক্ষণ করতে জায়গা কম লাগে। মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে রাখার জন্য উচ্চমূল্যের নোটই বেশি ব্যবহার করছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় ইস্যুকৃত নোটের মধ্যে উচ্চমূল্যের কত শতাংশ, সেটি আমার জানা নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটি পর্যালোচনা করে দেখতে পারে। বাংলাদেশে ব্যাংক খাতের মোট তারল্যের তুলনায় নগদ অর্থ বেশি। উচ্চমূল্যের নোট এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা যেতে পারে।

অর্থনীতির চাহিদার নিরিখে মুদ্রা ইস্যু করে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকার। বাংলাদেশে সরকারি মুদ্রা হলো , টাকার নোট এবং কয়েন। সরকারের ইস্যুকৃত ধরনের মুদ্রা রয়েছে হাজার ৫৪৬ কোটি টাকার। তবে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির চাপে সরকারি মুদ্রা এরই মধ্যে বাজারে উপযোগিতা হারিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত গভর্নরের স্বাক্ষরযুক্ত নোট ব্যাংক নোট হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংক নোট হলো ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার কাগুজে মুদ্রা। বাংলাদেশের মতো একটি অর্থনীতির দেশে ৬০-৭০ হাজার কোটি টাকার নগদ অর্থ যথেষ্ট বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ১০-১২ শতাংশ নগদ হিসেবে বাজারে থাকাই যথোপযুক্ত। কিন্তু গত এক দশকে বাজারে নগদ অর্থের পরিমাণ হার বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েনি। বর্তমানে ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ১৭ শতাংশ বাজারে নগদ অর্থ হিসেবে রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, গত জুনে ইস্যুকৃত অর্থের মধ্যে হাজার ৫১৪ কোটি টাকা হলো ১০ টাকার নোট। এটি মোট ইস্যুকৃত অর্থের শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর ২০ টাকার নোট রয়েছে হাজার ৬৪১ কোটি টাকার, যা ইস্যুকৃত অর্থের শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ। ৫০ টাকার নোট রয়েছে হাজার ৩২১ কোটি টাকার। ১০০ ২০০ টাকার ইস্যুকৃত নোট রয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৭১২ কোটি হাজার ২৬১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ১০ থেকে ২০০ টাকার নোট হলো মোট ইস্যুকৃত কাগুজে মুদ্রার মাত্র দশমিক ৪১ শতাংশ। বাকি ৯১ দশমিক ৫৯ শতাংশ ইস্যুকৃত নোটই ৫০০ ১০০০ টাকার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ . মো. হাবিবুর রহমান বলছেন, কোনো দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধির পথে হাঁটলে সে দেশে উচ্চমূল্যের নোটের চাহিদাও বাড়ে। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি মাথাপিছু আয়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোট ইস্যু করছে। নোট ইস্যুর ক্ষেত্রে দেশের মূল্যস্ফীতির হারও বিবেচনা করা হয়। উচ্চমূল্যের নোট বেশি হওয়ায় মানুষ অপেক্ষাকৃত সহজ নিরাপদে লেনদেন করতে পারছে।

তবে দেশের একাধিক ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী বলছেন, আগে মানুষ ব্যাংকে এসে ৫০০ টাকার নোটই বেশি চাইত। এখন বড় অংকের টাকা তুলতে এলে গ্রাহক ১০০০ টাকার নোট চাচ্ছেন। ৫০০ টাকা বা তার চেয়ে কম টাকার নোট দিলে বেশির ভাগ গ্রাহকই তা নিতে চান না। ঘুস, অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ মানুষের ঘরের সিন্দুকে ঢুকছে। কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশি ছাপালেও ব্যাংকগুলোয় হাজার টাকার নোট থাকছে না।

এক দশক আগেও বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের ইস্যু করা নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬০ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ইস্যু করা টাকার পরিমাণ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তার পরও ব্যাংক খাতে নগদ অর্থ ছিল মাত্র ২১ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা। বাকি টাকা ব্যাংকের বাইরে চলে গেছে। সেপ্টেম্বরের পর ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলে নেয়ার প্রবণতা আরো বেশি বেড়েছে।

দেশে উচ্চমূল্যের নোট ইস্যু যত বাড়ছে, ব্যাংকের বাইরে চলে যাওয়া নগদ অর্থের পরিমাণও ততই বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু গত পাঁচ বছরেই দেশের ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ অন্তত ৭০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৮ সালের জুন শেষেও ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল লাখ ৪০ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে অর্থের পরিমাণ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। হিসাবে পাঁচ বছরের ব্যবধানে ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৯৯ হাজার ৮১ কোটি টাকা।

ব্যাংকের বাইরে থাকা অর্থের বড় অংশই কালো টাকা বলে মনে করেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান আনিস খান। তিনি বলেন, অপরাধীরা অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ ব্যাংকে রাখতে সাহস পাচ্ছে না। ফলে অর্থের একটি অংশ দেশ থেকে পাচার হচ্ছে, অন্য অংশ বাড়িতে সিন্দুক বা বালিশ-তোষকে ঢুকছে। সিন্দুকে ঢুকে যাওয়া অর্থ দেশের অর্থনীতিতে কোনো ভূমিকা রাখে না। লেনদেন ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাল না হওয়া পর্যন্ত নগদ অর্থের চাহিদা কমবে না।

গত এক দশকে দেশে ব্যাংকের সংখ্যা শাখা বেড়েছে। বেড়েছে ডেবিট ক্রেডিট কার্ড, এটিএম বুথ, পিওএস মেশিনের মতো ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যম। মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মতো প্রযুক্তিনির্ভর সেবাও যুক্ত হয়েছে অর্থনীতিতে। অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটার বাজারও অনেক বেশি সম্প্রসারিত হয়েছে। আবার প্রযুক্তির উত্কর্ষে ব্যাংক খাতে যুক্ত হয়েছে অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা। সে হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে নগদ টাকার প্রবাহ কমে আসার কথা। কিন্তু সময়ে দেশে নগদ অর্থের পরিমাণ হার ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।

ব্যাংক খাতের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রবণতা বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, গত কয়েক বছরে খাতে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। এজন্য তারা অনেকটাই ব্যাংকবিমুখ হয়ে পড়েছে। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে রাখার প্রবণতা বাড়ায় প্রতারণা, চুরি-ডাকাতির মতো নগদ অর্থসংশ্লিষ্ট অপরাধও বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, লেনদেন ব্যবস্থা সহজ করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৫০০ ১০০০ টাকার নোট ইস্যু করেছে। বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে দুটি নোটের চাহিদা বেশি। ভাংতির প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছোট নোট ইস্যু করে। ১০০ টাকার একটি নোট ছাপানোর খরচ আর ১০০০ হাজার টাকার একটি নোট ছাপানোর খরচ প্রায় কাছাকাছি। অথচ দুটির মূল্যমানে আকাশ-পাতাল ফাঁরাক। যদিও দুটি নোটেরই লাইফ টাইম ছয় মাস।

মেজবাউল হক বলেন, ঘুস-হুন্ডিতে ব্যবহার হচ্ছে কিংবা টাকা তুলে মানুষ ঘরে নিয়ে যাচ্ছে, শঙ্কায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক উচ্চমূল্যের নোট ছাপানো কমালে ডলারসহ অন্যান্য উচ্চমূল্যের বিদেশী মুদ্রার লেনদেন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

 

হাছান আদনান: সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন