আলোকপাত

লিঙ্গ সমতা আর্থসামাজিক বৈচিত্র্যকে বাড়িয়ে তোলে

মোহাম্মদ জমির

সামাজিক সমতার মতো অর্থনৈতিক সমতা শুধু উন্নত দেশগুলোর জন্য নয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্যও অগ্রগতি নিয়ে আসে। তাদের নারীদের ওপর বিশ্বজুড়ে প্রভাব পড়ার আগ পর্যন্ত তারা গতিবেগ তৈরি করতে পারে, কারণ নারীর ক্ষমতায়ন এখন শুধু নৈতিক ইস্যু হিসেবে বলবৎ নেই। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য স্থিতিশীল উন্নয়ন স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ অর্জন করার জন্য সক্ষম হতে এটি এখন প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ।

বিশ্লেষক গারিব ফাকিম গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছেন, ‘প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনের ভূমিকা রয়েছে। বেসরকারি সংস্থাগুলো অভ্যন্তরীণ আর বহির্গতভাবে ইস্যুগুলো মোকাবেলা করতে পারে। অভ্যন্তরীণভাবে তারা বোর্ড রুমে লিঙ্গ বিভক্তিকে পরিবর্তন করতে পারে। নারী-পুরুষের মজুরি ঘাটতি সংশোধন করতে পারে, বৈষম্য নিরসনে কাজ করতে পারে এবং এমন একটি কর্মপরিবেশ তৈরি করতে পারে যা নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে। বাহ্যিকভাবে সংস্থাগুলো এমন প্রকল্পে কাজ করতে পারে যা সরাসরি নারীর উন্নয়নকে সমর্থন করে, যেমনটি অনুদানের মাধ্যমে অংশীদারত্ব এবং নারীদের জন্য শিক্ষা, দক্ষতা এবং তাদের সফল হওয়ার জন্য যে সুযোগ প্রয়োজন সে রকম প্লাটফর্ম নির্মাণের মাধ্যমে হতে পারে।

প্রসঙ্গে আশা করা যায়, কপ২৬ সম্মেলনে যে অর্থায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছিল তা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে লিঙ্গ অসমতার চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে স্থানীয় সমাজ প্রান্তিক নারীদের জন্য ব্যয় হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে প্রভাব পড়ছে সেটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে।

সমাজে মুখ্য অবদান রাখতে যত্নশীল সক্রিয় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থানীয় খাদ্য ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ক্ষেত্রে নারীরা দীর্ঘমেয়াদে জলবায়ু সহনশীলতার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করছে এবং তা লাঘব মানিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে। যা হোক, যদি তারা প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থন না পায়, তাহলে নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় কমপক্ষে কোটি ২৫ লাখ মেয়ের শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করার ক্ষেত্রে ভীতি থেকে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নারীর ক্ষেত্রে ক্ষুধা বৃদ্ধি, খাদ্য অনিরাপত্তা এবং সহিংসতার প্রভাব ফেলে এটি সুশীল নারী সমাজকর্মীরা আগেই পর্যবেক্ষণে পেয়েছেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নারীর দুর্বলতা সামাজিক, অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক। জলবায়ু দুর্বল দেশগুলোয় নারীকে জীবনধারণে স্থানীয় প্রাকৃতিক উৎসের প্রতি নির্ভরশীল হতে হয়। বিশেষ করে গ্রাম এলাকাগুলোয় তাদের কাঁধে গৃহস্থালি কাজের ভার অর্পিত থাকে। যা হোক, নারীকে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় ভুক্তভোগী হিসেবে দেখা না গেলেও পরিবর্তনের সক্রিয় এবং কার্যকর প্রতিনিধির ভূমিকায় পাওয়া যায়। এটি নারীর উপার্জন, স্বাস্থ্য জীবনযাপনে হুমকিস্বরূপ। বিশেষ করে আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অংশ এবং অনেক উন্নয়নশীল দেশগুলোয় গৃহস্থালিসংক্রান্ত পুরো কাজ যেমন খাদ্য, জ্বালানি এবং পানি সরবরাহ অধিকাংশ সময়ে নারীদের ওপর নির্ভর করে, যা তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে অপর্যাপ্ত হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অনুষ্ঠানগুলো প্রচার করেছে কীভাবে তাদের দূরবর্তী পানির উৎসগুলো থেকে পানি আনতে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয়।

ম্যারি রবিনসন প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ করেছেন যে অনেক প্রথাগত সমাজের পরিবেশে নারীরা কীভাবে দীর্ঘদিন জিম্মাদারের ভূমিকায় রয়েছে। নারীরা যারা প্রায়ই খাদ্য সরবরাহকারী, বীজ ভাণ্ডারের রক্ষক এবং গৃহস্থালি পর্যায়ে নীতিনির্ধারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। নারীরা প্রায়ই নতুন প্রযুক্তির প্রারম্ভিক ব্যবহারকারী হয়, যারা ঘন ঘন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে প্রথমেই সাড়া দেয়। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য আমাদের বিশ্বে নারীরা জলবায়ু বিজ্ঞানী, আইনরক্ষক, সমাজ সংগঠক, ব্যবসার স্বত্বাধিকারী, নীতিনির্ধারক, আবিষ্কারক এবং অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন। 

লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে জলবায়ুর পদক্ষেপে সংকল্প এবং প্রতিশ্রুতিগুলো পুনরায় স্মরণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ঠিক যেমনটি জেনারেশন ইকুয়ালিটি ফোরামে গত বছরের শুরুর দিকে কপ২৬ সম্মেলনে বলা হয়েছিল। সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের অবশ্যই বোঝা উচিত ন্যায়সংগত এবং ব্যাপক সিদ্ধান্ত প্রণয়ন এটি নিশ্চিত করে না যে নারীরা সবসময় সিদ্ধান্ত প্রণয়নের জায়গায় থাকে, কিন্তু বিশেষ করে প্রান্তিক আদিবাসী এবং গ্রাম্য সমাজে তা বলবৎ রয়েছে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে কপ২৭-এর কার্যকারিতা ব্যাপক হবে।

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের গুরুত্ব এবং মাত্রা যার সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন অংশের মানুষের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমাদের অবশ্যই নারীর নেতৃত্ব, দক্ষতা যোগ্যতার ওপর সংহত দৃষ্টিপাত করতে হবে। যখন এটি করা হবে, তখন তাদের অপরিশোধিত যত্ন এবং গৃহস্থালি কাজের কথাও বিবেচনা করতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য হ্রাস, স্থিতিশীল এবং ব্যাপক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক নীতি নিশ্চিত করতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে, তারা শুধু গৃহিণী নয় বরং গৃহনির্মাণকারীও বটে।

এখনো নারীর ভূমিকাকে একপাক্ষিক মনে করা হয়। ফাকিম প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনাকারী বোর্ডে নারীর ক্ষুদ্র প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। আইএমএফ বিশ্বব্যাংকে ১৯ শতাংশ এবং অধিকাংশ জাতীয় সংসদগুলোয় ৩০ শতাংশেরও কম প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। লিঙ্গবৈষম্য আরেকটি ইস্যু হিসেবেও চলমান, বিশ্বব্যাপী উপার্জনের ক্ষেত্রে নারীর ৩৫ শতাংশ অংশীদারত্ব রয়েছে, যা ১৯৯০ সালের পর থেকে মাত্র শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্লেষকরা এটিও পর্যবেক্ষণ করেছেন অর্থনৈতিকভাবে নারীর নিজেদের পরিবারের প্রতি আর্থিক সক্ষমতার ঝোঁক বৃহৎ আকারে এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের দারিদ্র্যে ভোগা ১৩০ কোটি জনগণের মধ্যে প্রভাবিত হয়েছে। এটি বিশেষ করে লক্ষ করা গেছে, ৬০ শতাংশেরও বেশি নারী কৃষিশ্রমভিত্তিক কর্মকাণ্ড, অবৈতনিক অথবা ক্ষুদ্রভাবে মূল্যায়িত হয়ে থাকে। কৃষিভিত্তিক উৎপাদনে লিঙ্গবৈষম্য বহাল রয়েছে কারণ জমি, শ্রম, জ্ঞান, সার এবং উন্নত বীজের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৃষিভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিতে প্রায় ক্ষেত্রেই নারীর অসম অধিকার রয়েছে। এর বাস্তবায়ন নারী শিশু উভয়ের আয়, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।  

কিছু নারী সমাজকর্মী এটিও পর্যবেক্ষণ করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নারীর ক্ষেত্রে ক্ষুধার ঝুঁকি বৃদ্ধি, খাদ্য অনিরাপত্তা এবং সহিংসতার মুখোমুখি করছে। এক্ষেত্রে . ক্লাউডিয়া স্যাডফের পর্যবেক্ষণ যোগ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে যা সিজিআইএআরের মাধ্যমে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের ওপর করা হয়েছিল। এটি চলতি বছর মার্চ মাসের প্রথমার্ধে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের সময় প্রকাশ পেয়েছে। তিনি দেখিয়েছেন বাংলাদেশের গ্রাম্য এলাকায় গত ১০ বছরে নারীর উন্নয়ন কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা নয়। এটি সযত্নে পরিকল্পনার ভিত্তিতে করা হয়েছিল। তিনি এক দশক আগেই উল্লেখ করেছেন পাঁচটি সূত্র অনুসারে চারজন গ্রাম্য নারীর একজনকে ক্ষমতায়িত বলা যায় না, এটি এমন একটি সংখ্যা যা দেশের অতি দরিদ্রদের নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের বিস্মিত করেছিল। ২০১৫ সালে এটি পাঁচজনের ক্ষেত্রে দুজনের অধিক হয়ে যায় অথবা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যা ৪১ শতাংশে উপনীত হয়েছে।  

দৃশ্যত উত্থানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি হচ্ছে গ্রাম্য নারীদের ক্ষমতায়নের মাত্রার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত প্রয়াস, যা নারীদের কৃষিকাজ মাছচাষসহ প্রতিদিনের জীবনে সরাসরি সম্পৃক্ত প্রকৃত বিষয়গুলোর সমন্বয়ে হয়েছে।

এটি স্পষ্ট যে এসব ফলাফল সিদ্ধান্ত প্রণয়ন খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশীদারত্ব বৃদ্ধির উদ্দেশ্যকৃত পন্থার ক্ষেত্র নির্দেশ করে অধিক অনুপ্রাণিত করে। বিশ্লেষকরা যখন তথ্য যাচাই করেন, যা এমডিজি লক্ষ্যগুলো অর্জনের কারণ হিসেবে গণ্য হয়। চুক্তির ক্ষেত্রেও যা সম্ভব ছিল, কেননা শুধু বৃহৎ ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে নয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে পুষ্টি, স্বাস্থ্য উৎপাদনশীলতার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। লিঙ্গবৈষম্যের ক্রমানবতি দৃশ্যত বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের দেশ হিসেবে উত্তরণে সহায়তা করছে, যা চরম দারিদ্র্য এবং শিশু মায়ের মৃত্যু-হার কমার প্রসঙ্গেও উল্লেখযোগ্য।

. ক্লাউডিয়া স্যাডফ এটিও চিহ্নিত করেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বহুমুখী সুযোগের বিষয়টি উন্মুক্ত করেছে, যা গ্রাম্য নারী তাদের সমাজে ক্ষমতায়নের মাত্রা এবং সমতাকে পরিমাপ করছে। এটি মনে করিয়ে দেয়, ২০১২ সালে বাংলাদেশ প্রথম দেশ হিসেবে জাতীয় গৃহায়ণ জরিপের ক্ষেত্রে কৃষি সূচকে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছিল। সূচকের একটি উপাদান নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করেছে। যেমন অর্থনৈতিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত, অর্থনৈতিক উৎসের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা, উপার্জন খরচের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা, সমাজে নেতৃত্ব প্রদান এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সময় ব্যয় করতে পারা। 

অতিরিক্ত হিসেবে লিঙ্গ সমতার আরেকটি দিক পরিমাপ করা হয়, নারীদের মধ্যে কত শতাংশের ক্ষমতায়ন করা হয় অথবা গৃহস্থালি কাজে যাদের অন্তত পুরুষদের মতো বৃহৎ অর্জন রয়েছে। এসব দিক অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা, পুষ্টিগত উপাদান এবং জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নকে লিটমাস পরীক্ষায় উপনীত হওয়ার অনুমোদন দেয়। এসব মাত্রা এবং বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরবর্তী ধাপে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অনুষ্ঠানগুলোয় উৎসাহিত করেছে যা নারী, কৃষি এবং খাদ্যনিরাপত্তার ক্ষেত্রে পারস্পরিক যোগসূত্র স্থাপন করেছে।

মাত্রাটি বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়কে এবং বাংলাদেশে ২০১৫-১৮ সালের মধ্যে কৃষি প্রশিক্ষণ, পুষ্টিগত আচরণ পরিবর্তন, যোগাযোগ এবং লিঙ্গ সংবেদনশীলতা অনুসন্ধান এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এক্ষেত্রে অংশীদারত্ব অনুসন্ধান তা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে প্রভাবিত করেছে। প্রচেষ্টাটি লক্ষণীয়ভাবে চালের তুলনায় অন্য শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং গৃহস্থালি খাদ্যাভ্যাসে উন্নতির বিষয়টি তুলে ধরে। সফলতাটি অনেক দেশেই হয়েছে, যারা ওমেনস এমপাওয়ারমেন্ট ইন এগ্রিকালচার ইনডেক্স (ডব্লিউইএআই) অনুসারে নির্দেশনা এবং তাদের নীতি গঠন, বিনিয়োগ নির্দেশনা এবং নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করতে পারে, যা অধিক স্বাস্থ্যকর, ব্যাপক এবং উন্মুক্ত বিশ্বের উদ্দেশ্য সাধনের প্রবেশপথ হিসেবে গণ্য হতে পারে।

উপরের কথা থেকে এটি পরিষ্কার যে বিনিয়োগ, সংগ্রহ, ক্ষমতায়ন সূচকের ওপর প্রতিবেদন এবং উন্নয়ন-সহযোগীদের সঙ্গে অনুসন্ধানের মাধ্যমে তাদের উপাত্ত সংগ্রহে সরকারের সমালোচনামূলক ভূমিকা রয়েছে। এটি অন্যদের সঙ্গে কার্যকরভাবে প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়ায় বিভক্ত হতে পারে। 

যদি লিঙ্গ অসমতা ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পায় এবং অবশেষে লক্ষ্যের ভিত্তিতে নির্বাসিত হয়, তাহলে এর কার্যকর প্রয়োগ প্রতিটি দেশের জন্যই ফল বয়ে আনবে। বিশেষ করে শিশুদের গৃহস্থালি খাদ্যাভ্যাস এবং দীর্ঘমেয়াদে প্রতিটি আক্রান্ত অঞ্চল এবং উপ-অঞ্চলে এর ফলাফল দেখা যাবে।

 

মোহাম্মদ জমির: সাবেক রাষ্ট্রদূত; বৈদেশিক সম্পর্ক, তথ্য অধিকার

সুশাসনবিষয়ক বিশ্লেষক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন