গত মে মাসে জাপানের বেকারত্বের হার ২ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এপ্রিলে এ হার ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ। জাপানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এ নিয়ে চার মাসে প্রথমবারের মতো দেশটিতে বেকারত্বের হার বেড়েছে। খবর কিয়োদো নিউজ।
গত মাসের তুলনায় এ বছরের মে মাসে কর্মসংস্থানের সুযোগের অনুপাত শূন্য দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১ দশমিক ২৪ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ১০০ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে ১২৪টি। জাপানের শ্রমমন্ত্রী জানান, এ নিয়ে টানা পাঁচ মাসের মতো কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ল দেশটিতে।
কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়লেও বেকারত্বের হার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। জাপানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, কভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর আরো ভালো কোনো চাকরির খোঁজে অনেকে বর্তমান চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এ বিষয়ে দেশটির স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, শিল্পোৎপাদনসহ বাসস্থান ও খাদ্য পরিষেবা খাতে নিয়োগ দেয়ার জন্য নতুন কর্মী খোঁজা হচ্ছে।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের জের ধরে খাদ্য ও সম্পদের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত ছিল। ফলে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেড়েছে। কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করা হলেও সে তুলনায় বেতন বাড়ানো হচ্ছে না বলে জানান মেইজি ইয়াসুদা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইউইচি কোদামা।
জাপানের অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, মে মাসে মোট চাকরিজীবীদের সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার। অথচ এর আগে এপ্রিলে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ১ লাখ ৪০ হাজার।
চলতি বছরের মে মাসে স্বাস্থ্যসেবা ও কল্যাণ পরিষেবা খাতে কর্মরত জাপানিদের সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৯৪ লাখ ৫০ হাজারে উন্নীত হয়। এছাড়া তথ্য যোগাযোগ খাতে কর্মসংস্থান গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ২৭ লাখ ২০ হাজারে উন্নীত হয়েছে।
এদিকে পাইকারি ও খুচরা খাতে কর্মসংস্থান গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ১ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি খাদ্য ও বাসস্থান পরিষেবা খাতে কর্মসংস্থান এক বছরে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ কমে ৩৬ লাখ ৮০ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
সমন্বিত তথ্যে জানা গেছে, আগের মাসের তুলনায় মে মাসে জাপানে মোট বেকারের সংখ্যা ৪০ হাজার বেড়ে ১৮ লাখে উন্নীত হয়েছে। ওই মাসে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের হার এপ্রিলের তুলনায় ৮ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৭ লাখ ৯০ হাজারে উন্নীত হয়েছে।
