বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন এবং এ খাতে ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে সিঙ্গাপুর। গতকাল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুর ট্রেড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন ও সহযোগিতার বিষয়ে আয়োজিত এ সভায় এমন প্রতিশ্রুতি দেয় সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়।
সভায় সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ম্যাগডালিন লো, সহকারী পরিচালক ভেরোনিক ব্যান, বিশ্লেষক ইউ জিন ই, সিঙ্গাপুর কাস্টমসের নেটওয়ার্ক ট্রেড প্লাটফর্ম (এনটিপি) অফিসের সিনিয়র অফিসার আমালিনা বিনতে কোমারি এবং বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের গ্লোবাল অ্যাডভাইজার সৌম্য বসু, প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা, পরিচালক শেখ লিমা প্রমুখ।
সভায় উভয় দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ই-কমার্স খাতে ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং এ খাতে সার্বিক উন্নয়ন ও বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া ই-কমার্স খাতে পারস্পরিক লেনদেন, ব্যবসা পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায়িক তথ্যের নিরাপত্তা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্বস্ত ডিজিটাল প্লাটফর্ম, ক্রসবর্ডার পেমেন্ট সিস্টেম এবং ডাটার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের সর্বশেষ অগ্রগতি সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরেন। তিনি অনলাইন ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার ও এটিএম কার্ড ব্যবহার দেশে ই-কমার্সেরও ব্যাপক প্রসার ঘটাচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত ই-কমার্সের আকার ছিল ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা করোনা মহামারীর সময়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সাল নাগাদ দেশীয় ই-কমার্সের বাজার ২৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছতে পারে।