হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১২ টাকা কমেছে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পূজার ছুটি শেষে পেঁয়াজ আমদানি চালুর সঙ্গে সঙ্গে পাইকারিতে দাম কেজিপ্রতি ১২ টাকা করে কমেছে। বন্ধের আগে বন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩৬-৩৮ টাকায় নেমেছে।

হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা মিরাজুল ইসলাম সিরাজ উদ্দিন বলেন, আমরা বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতাম। পূজার বন্ধের আগে বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনেছি ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে। পূজার বন্ধের পর আমদানি শুরু হওয়ায় সেই পেঁয়াজের দাম কমে ৩৬ টাকায় নেমেছে। আগে দাম বেশি থাকায় পেঁয়াজের বেচাকেনা কমে গিয়েছিল। ছিল লোকসানের আশঙ্কাও। এছাড়া আগে বাড়তি দামে মোকামগুলোতে পেঁয়াজ পাঠানো হয়েছিল, সেই পেঁয়াজের মজুদ এখনো আছে। তবে এখন দাম কমায় আমাদের বেশ সুবিধা হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মাহফুজার রহমান ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, শারদীয় দুর্গা পূজার বন্ধ শেষে বন্দর দিয়ে পুনরায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। তবে দাম কমার মূল কারণ হলো সরকারের পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার। কেজিপ্রতি টাকার মতো শুল্ক কমেছে। এর ওপর মিয়ানমার থেকে প্রচুর পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। ওই পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক কম, বাজারে চাহিদাও ভালো। এছাড়া পূজার বন্ধের আগে চাহিদা থাকায় প্রচুর পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। বন্ধের মধ্যে চাহিদা না থাকায় আগের আমদানীকৃত পেঁয়াজগুলো স্থানীয় আমদানিকারকদের ঘরে এখনো মজুদ আছে। বিক্রি না থাকায়   প্রচণ্ড গরমে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করছেন। মোকামগুলোতে চাহিদা না থাকায় বন্দরে পেঁয়াজের ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। পূজার বন্ধ শেষে আবারো আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কমছে। এছাড়া দেশীয় পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা থেকে কমে ৪৫-৫০ টাকায় নেমেছে। সামনের দিনে নতুন পাতা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করবে। ফলে দাম আরো কমবে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ছয় দিন বন্ধের পর রোববার বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। দিন বন্দর দিয়ে ১৭টি ট্রাকে ৪৭৪ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এসব পেঁয়াজ দ্রুত খালাস করে আমদানিকারকদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। তবে গতকালও বন্দর দিয়ে আমদানি অব্যাহত ছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন