এবার ইভ্যালির আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি'র আর্থিক অনিয়ম অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনিয়ম অনুসন্ধানে এরই মধ্যে দুই সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই কমিটি গঠন করা কথা দুদক সুত্র নিশ্চিত করেছে। 

দুই সদস্যর অনুসন্ধান দলের একজন হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী এবং অপর সদস্য হলেন উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম। 

বিষয়টি নিয়ে দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আরিফ সাদেক বণিক বার্তাকে জানান, 'আগে বানিজ্য মন্ত্রনালয় হতে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু করা হয় ২ সদস্যের টিমের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং অনুবিভাগ হতে।নতুন প্রাপ্ত অভিযোগটি পূর্বের অভিযোগের সাথে সংযুক্ত করে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নতুন অভিযোগটি আরো সুনির্দিষ্ট হওয়ায় এখন অনুসন্ধান কার্যক্রম গতিশীল হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

গত ৪ জুলাই ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুদকসহ চারটি সরকারি সংস্থায় চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অন্য তিন সংস্থা হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইভ্যালি ডটকমের চলতি সম্পদ দিয়ে মাত্র ১৬.১৪ শতাংশ গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে বা অর্থ ফেরত দিতে পারবে। বাকি গ্রাহক এবং মার্চেন্টের পাওনা পরিশোধ করা ওই কোম্পানির পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়া গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে নেওয়া ৩৩৮.৬২ কোটি টাকার কোনো হদিস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, যা আত্মসাৎ কিংবা অবৈধভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের আলোকে ইভ্যালি'র বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক কোনো আর্থিক অনিয়ম পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন