তাইওয়ান দাবি করেছে, ‘অন্যায়ভাবে বাণিজ্য সুবিধা নিতে তারা কখনো বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার হেরফেরের চেষ্টা করেনি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আইন ২০১৫ অনুযায়ী মুদ্রা কারসাজির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ কথা বলেছে। খবর রয়টার্স।
গত শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ অপর্যাপ্ত প্রমাণের উদ্ধৃতি দিয়ে সুইজারল্যান্ড ও ভিয়েতনামের পাশাপাশি তাইওয়ানকে আনুষ্ঠানিক লেবেল করা থেকে বিরত থাকে।
মহামারীর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাসাবাড়ি থেকে অফিসের কাজ করার ফলে বিশ্বব্যাপী তাইওয়ানের ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ও অন্যান্য ইলেকট্রিক সরঞ্জামের চাহিদা বেড়ে যায়। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের আমদানির চেয়ে রফতানি বেশি হয়। এ সময়ে তাইওয়ানি ডলারের মূল্য বেড়ে যায়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তাইওয়ানের প্রযুক্তিপণ্যের চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে।
তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ প্রতিবেদনে বলেছে, ট্রেজারির সিদ্ধান্তের আগে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছিল, যাতে মহামারী চলাকালীন তিনটি বিষয় ছাড় দিতে বলেছিল।
তারা আরো বলেছিল, মহামারীর প্রকোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের এ সময়ে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য এবং বিনিময় হারের নীতিমালা মূল্যায়ন করতে উপযুক্ত সূচক হিসেবে এ তিনটি মানদণ্ডে বিচার করা উচিত না, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ২ হাজার কোটির বেশি উদ্বৃত্ত করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের দেশজ উৎপাদন ২ শতাংশ অতিক্রমের পাশাপাশি জিডিপি ২ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।