গুগল, বিএমডব্লিউ, ভলভো ও স্যামসাং

গভীর সমুদ্র খনন বন্ধে চার জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানের সম্মতি

বণিক বার্তা ডেস্ক

গভীর সমুদ্র খনন বন্ধে সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের এক আহ্বানে সম্মতি জানিয়েছে গুগল, বিএমডব্লিউ, ভলভো স্যামসাং এসডিআই। আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে সম্মতি জানানো প্রতিষ্ঠানগুলো গভীর সমুদ্রের তলদেশ থেকে কোনো খনিজ পদার্থ উত্তোলন করতে পারবে না। এছাড়া কোনো পণ্যে এসব খনিজের ব্যবহার এবং ধরনের কোনো প্রজেক্টে বিনিয়োগ করতে পারবে না সংস্থাগুলো। খবর রয়টার্স।

গভীর সমুদ্র খননের মাধ্যমে কোবাল্ট, কপার, নিকেল, ম্যাঙ্গানিজসহ অনেক ধরনের খনিজ পদার্থ উত্তোলন করা হয়। যেগুলো মূলত ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এসব খনিজ পদার্থ সমুদ্রপৃষ্ঠের চার-ছয় কিলোমিটার গভীরে থাকে। উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের ক্যারিয়ন-ক্লিপারটন অংশে পদার্থের বিস্তৃতি বেশি।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ এক বিবৃতিতে জানায়, গভীর সমুদ্রের বাস্তুসংস্থান সম্পর্কে পুরোপুরি না জানা পর্যন্ত খনন সম্পর্কিত সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা উচিত। স্থগিতাদেশে গভীর সমুদ্র খননের ফলে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে এবং এর বিকল্প সম্পর্কে না জানা পর্যন্ত -সংক্রান্ত সব কাজ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।

গভীর সমুদ্রে খননের মাধ্যমে যে উপকরণ সংগ্রহ করা হয়, বর্তমানে তা কোনো কাজে লাগাবে না বলে জানিয়েছে গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বিএমডব্লিউ। এসব পদার্থ সংগ্রহে পরিবেশের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট বৈজ্ঞানিক তথ্য না থাকায় তারা সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে ব্যাপারে গুগল ভলভো কোনো মন্তব্য করেনি। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এসডিআই জানায়, ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারাই প্রথম ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে।

এরই মধ্যে গভীর সমুদ্রে খননের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠের যেসব অংশে খননকাজ করার অনুমতি রয়েছে, সেসব বিষয়ে অনুসন্ধান গবেষণা শুরু করে দিয়েছে। ডিপগ্রিন, জিএসআরসহ যেসব প্রতিষ্ঠানের সমুদ্রপৃষ্ঠে অনুসন্ধানের অনুমতি রয়েছে, তারা আশা করছে সবকিছু পেরিয়ে গাড়ি ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে এসব খনিজ পণ্য বিক্রি করতে পারবে।

সম্প্রতি ডিপগ্রিন এক বিবৃতিতে জানায়, গভীর সমুদ্রে খনন প্রক্রিয়া ভূমি খননের তুলনায় কম ব্যয়বহুল, টেকসই এবং এর ফলে কম বর্জ্য উৎপাদিত হয়। আর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে খনিজ সমৃদ্ধ যেসব খণ্ড উত্তোলন করা হয়, সেগুলোয় বেশি উপাদান থাকে।

অন্যদিকে নরওয়ে জানায়, তারা ২০২৩ সালের দিকে গভীর সমুদ্র খননের জন্য সংস্থাগুলোকে লাইসেন্স প্রদান করতে পারে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাছে সমুদ্রপৃষ্ঠের ধাতব উপাদান বিক্রির জন্যই তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন