মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মিরু। গতকাল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে সোমবার দিবাগত রাতে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। সিংগাইর সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ দুলাল ও ফারুক হোসেনের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলে আসছে। এ কোন্দলের জের ধরে দুলাল ও তার বড় ভাই উপজেলা পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন ওরফে আঙ্গুর ফারুক এবং তাদের সহযোগীরা মিরুকে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, প্রায় এক মাস আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোল্লা মোহাম্মদ দুলাল ও তার সহযোগীরা ফারুক হোসেনকে মারধর করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কোন্দল দেখা দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার জয়মন্টপ এলাকায় একটি গানের অনুষ্ঠান থেকে মোটরসাইকেলে করে উপজেলা সদরে বাড়িতে ফিরছিলেন ছাত্রলীগ নেতা মিরু। রাত ১টার দিকে সিংগাইর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে প্রতিপক্ষের দুলাল ও তার ভাই জালাল মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। এরপর তারা মিরুকে ধারালো অস্ত্র (চাইনিজ কুড়াল) দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মিরুকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গতকাল বেলা ১টার দিকে তিনি মারা যান।
সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে দুলাল ও জালাল চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ফারুককে হত্যা করে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, কিলিং মিশনে দুটি সিএনজিতে থাকা পৃথক ছয়জন অংশ নেয়। খুনের মোটিভ নিশ্চিত হলেও এখনো কেউ মামলা করেনি। এছাড়া খুনের ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার রিফাত রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে এরই মধ্যে মাঠে পুলিশি অভিযান চলছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
