বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অগ্নিকাণ্ড

নারায়ণগঞ্জে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ হয়ে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহর এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন কুমারটেক এলাকার বাসিন্দা ইজিবাইক চালক মো. মাসুম (৪০), তার স্ত্রী সীমা আক্তার (২৮), ছেলে আব্দুল্লাহ রাসেল (১৭) রহমত উল্লাহ (১০)

এদিকে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পল্লী বিদ্যুতের তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলাও হয়েছে। শুক্রবার রাতে নিহত মাছুমের মামা নূর হোসেন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।

পল্লী বিদ্যুতের পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।

পূর্বাচল উপশহর মাল্টিপারপাস ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা উদ্দীপন ভক্ত জানান, নিহত মাসুমের বাড়ির ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দুটি লাইন গেছে। শুক্রবার রাত ৯টায় বিদ্যুতের একটি লাইন ছিঁড়ে অন্যটির ওপর পড়ে। ফলে আগুন ধরে যায়। আগুন মাসুমের টিনের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ঘরের মধ্যে থাকা চারজনই মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মাসুম, রাসেল রহমতউল্লাহর পোড়া মরদেহ উদ্ধার করেন। সীমাকেও দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি মারা যান।

ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য চারটি মরদেহ নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। বিদ্যুৎ কোম্পানির অবহেলায় ঘটনাটি ঘটেছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ওসি বলেন, বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্তে কারো কোনো অবহেলা উঠে এলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আরএমও আসাদুজ্জামান জানান, নিহতদের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আগুন লেগে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন