‘রুম টু বাংলাদেশ’ এবং ‘#নেক্সটজেনএডু’ যৌথ আয়োজন

মহামারীকালের ‘নয়া স্বাভাবিকতা’ নিয়ে ওয়েবিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিড-১৯ মহামারীতে বদলে যাওয়া সময়ে শিক্ষানীতি রিভিউ করা কিংবা সাক্ষরতা কার্যক্রমের সঙ্গে স্যোশাল ইকোনোমিক লার্নিংকে (এসইএল) একীভূত করা এবং এ কাজে আমাদের ভূমিকা কী তা নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল বুধবার যৌথভাবে এক ওয়েবিনারের আয়োজন করে ‘রুম টু বাংলাদেশ’ এবং ‘#নেক্সটজেনএডু’। সেখানে ‘ক্যাফে’ সেশনে মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল: নিউ নরমাল বিশ্ব এবং নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত সাক্ষরতায় সামাজিক সংবেদনশীল দক্ষতা।

কভিড-১৯ মহামারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির্গের জীবনকে ব্যাপকভাবে রূপান্তর করেছে ও বদলে দিয়েছে। ‘নিউ নরমাল ওয়ার্ল্ড’ এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ, প্রতিষ্ঠান কিংবা স্কুল অব থট। সাক্ষরতা নিয়ে বর্তমান চ্যালেঞ্জকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে এই সংকট, যা কিনা স্কুল কিংবা আজীবনের শিক্ষা গ্রহণের নানা সুযোগকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবেই এক ধরনের অসুবিধার সৃষ্টি করেছে, কিন্তু এটা আবার শিক্ষা গ্রহণ ও ছড়িয়ে দেয়ার নতুন নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবনকেও উত্সাহিত করেছে। 

বাংলাদেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন, মেক্সিকোর মেরিটোরিয়াস অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সোস্যাল পার্টিসিশেন-এর পরিচালক মিরতা ফিগুয়েরোয়া, যুক্তরাজ্যের স্যান্ডস ডেমোক্র্যাটিক স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শন বেলামি ও রুম টু রিড-এর চিফ প্রোগ্রাম অফিসার  হিদার সিম্পসন ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালক ছিলেন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) স্কুল ফিডিং-এর প্রোগ্রাম পলিসি অফিসার ক্যাটেলিন রোজ রুনিয়ান-গ্লেস।    

মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘কভিড-১৯ মহামারী আমাদের এমন এক দৃষ্টিসহায়ক কাচ এনে দিয়েছে যা দিয়ে আমরা শিক্ষা পদ্ধতিটাকে সম্পূর্ণভাবে পরখ করে দেখতে পারছি; যেটি বাংলাদেশে শিক্ষা পদ্ধতির সফলতা কিংবা চ্যালেঞ্জগুলোকে তুলে ধরছে। একই সময় এটি আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবারও সুযোগ করে দিচ্ছে। সরকার দ্রুতই সাড়া দিয়েছে এবং ৭ এপ্রিল থেকে সংসদ টিভিতে প্রাইমারি ও প্রি-প্রাইমারি শিক্ষার্থীদের ক্লাস সম্প্রচার করা হয়েছে।’

হিদার সিম্পসন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সামাজিক-সংবেদনশীল কল্যাণসাধনের বিষয়টি এখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের সবাইকে এটি পূরণে মনোযোগী হতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে, আমরা যদি সামাজিক সংবেদনশীল শিক্ষার পরিচর্যা করতে পারি তবে সাক্ষরতা, মাইমেটিকসসহ একাডেমিক পর্যায়ে অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রভূত উন্নতি ঘটবে। সামাজিক সংবেদনশীল কল্যাণ এবং সাক্ষরতা কর্মসূচি প্রোগ্রাম ও কিশোরী মেয়েদের প্রোগ্রাম থেকে পাওয়া শিক্ষাকে একীভূত করার কাজটি চালিয়ে যেতে অঙ্গীকারাবদ্ধ ‘রুম টু রিড’। একই সাথে অন্য জায়গা থেকে শেখার সুযোগও আমার নিতে চাই। এভাবে আমরা এমন একটি ব্যবহারিক ও যথাসম্ভব সহজ পন্থা সামনে নিয়ে আসতে চাই যা শিক্ষার্থী, শিক্ষক কিংবা পিতামাতার কাছে যেন কোনোভাবে বোঝা হিসেবে মনে না হয় এবং তারা যেন না ভাবে যে এটা তাদের একাকেই বহন করতে হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন