আয় বেড়েছে কনোড়ের চায়ের নিলামে

বণিক বার্তা ডেস্ক

চা উৎপাদন বিপণনের জন্য দক্ষিণ ভারতের পাহাড়ি শহর কনোড়ের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। কনোড় টি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (সিটিটিএ) এখানকার চায়ের নিলামের আয়োজক। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) কনোড়ের চায়ের নিলাম থেকে আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শতাংশের

বেশি বেড়েছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেনকরোনা মহামারী লকডাউনে কনোড়ের নিলামে বিক্রির জন্য চায়ের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে ঠিকই, তবে পানীয় পণ্যটির দাম বেশি থাকায় নিলাম থেকে আয় আগের তুলনায় বেড়েছে। খবর বিজনেস লাইন।

সিটিটিএর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুলাই সময়ে চা বিক্রি করে কনোড়ের নিলাম থেকে সব মিলিয়ে ১৭ কোটি ৩৯ লাখ রুপি (ভারতীয় মুদ্রা) আয় হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২০ সালের প্রথম সাত মাসে কনোড়ের নিলাম থেকে প্রাপ্ত আয় দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে।

করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় মার্চে ভারতজুড়ে লকডাউন শুরু হয়। ওউ সময় কনোড়সহ পুরো দক্ষিণ ভারতের চা শিল্প স্থবির হয়ে পড়ে। দেখা দেয় শ্রমিক সংকট। মার্চ-এপ্রিলে লকডাউনের কারণে কনোড়ের নিলামঘর বন্ধ থাকায় টানা কয়েকটি নিলাম অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে নিলাম চালু হলেও সীমিত হয়ে আসে পানীয় পণ্যটির সরবরাহ।

প্রতিবেদনে সিটিটিএ জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে কনোড়ের নিলামে বিক্রির জন্য কোটি ৪৩ লাখ কেজি চা সরবরাহ হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে এখানকার নিলামে মোট কোটি ৫৭ লাখ কেজি চা সরবরাহ হয়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কনোড়ের নিলামে চা সরবরাহ কমেছে ১৪ লাখ কেজি।

করোনাকালে সরবরাহ কমলেও সময় চায়ের বাড়তি দাম কনোড়ের নিলামের আয় বাড়িয়েছে। জানুয়ারি-জুলাই সময়ে এখানকার নিলামে প্রতি কেজি চায়ের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ১০৩ দশমিক ২৭ রুপি (ভারতীয় মুদ্রা) আগের বছরের একই সময়ে পানীয় পণ্যটির গড় দাম ছিল কেজিপ্রতি ৯৪ দশমিক ১৫ রুপি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন