শিশুদের স্কুলে পাঠান : বরিস জনসন

বণিক বার্তা ডেস্ক

সেপ্টেম্বর মাসে খুলে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের সব স্কুল। কিন্তু করোনাভাইরাস এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় শিশুদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছেন তাদের অভিভাবকরা। তাই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন শিক্ষার্থীদের বাবা-মার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন, তারা যেন সন্তানদের সেপ্টেম্বরে স্কুলে পাঠান। খবর গার্ডিয়ান। 

যুক্তরাজ্যের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ক্রিস হুইটি রোববার বলছিলেন, কভিড-১৯ সংক্রমিত হলে শিশুদের যতটা ক্ষতি হয়, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় স্কুলে না গেলে। এ ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী। তার কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী জনসন বললেন, স্কুলে শিশুদের করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি ‘খুবই ক্ষীণ’ এবং বাসায় থাকলেই তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন কার্যকর হওয়ায় গত মার্চ থেকে স্কুলে যেতে পারেনি শিক্ষার্থীরা।

এক সিনিয়র টরির মতে, শিক্ষামন্ত্রী গ্যাভিন উইলিয়ামসনের পরিবর্তে জনসন নিজেই প্রকাশ্যে শিক্ষার্থীদের বাবা-মাকে অনুরোধ করেছেন মূলত সাম্প্রতিক বিতর্কের পর আবারো জনগনের মন জয় করার উদ্দেশে। এ-লেভেল পর্যায়ের পরীক্ষায় অ্যালগরিদম পদ্ধতি ব্যবহার করায় শিক্ষার্থীদের ফলাফলে বিপর্যয় ঘটে, ফলে অনেক শিক্ষার্থী ইউনিভার্সিটিতে জায়গা করে নিদে পারেনি। এ ঘটনার পর প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়েন উইলিয়ামসন এবং তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে জনসন নিজেই শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরানো নিয়ে জাতিকে বার্তা দিলেন। 

১ সেপ্টেম্বর শিশুদের স্কুলে ফেরা নিয়ে জনসন বলেন, ‘অতীতে আমি বলেছি, স্কুল পুনরায় খুলে দেয়ার আগে শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা নৈতিক দায়িত্ব। এখন আমি ধন্যবাদ দিচ্ছি সেই সব স্কুল স্টাফকে যারা গ্রীষ্মজুড়ে কঠোর পরিশ্রম করে শিশুদের ক্লাসরুম ও স্কুল আঙিনাগুলো জীবাণুমুক্ত করেছেন।’ 

তিনি যোগ করেন, ‘আমরা সব সময়ই বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শমতো চলছি এবং বছরের শুরুর দিকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে যা জানতাম এখন তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি জানতে পারছি। প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যেমনটি বলেছেন, স্কুলে শিশুদের কভিড-১৯ এ সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি খুবই কম এবং স্কুলে না এসে বাসায় থাকলে তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয় ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতির মুখে পড়ে। কাজেই এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, শিশুরা স্কুলে ফিরে গিয়ে পাঠগ্রহণ করবে ও বন্ধুদের সঙ্গে মিশবে। স্কুলে ফেরার চেয়ে অন্য কোনো কিছু শিশুদের জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে না।’

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, কভিড-১৯ মহামারীতে যুক্তরাজ্যে ৩ লাখ ২৭ হাজার সংক্রমিত হয়, মৃত্যু হয় ৫১ হাজার ৫১৫ জনের।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন