শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাফল্য, বিশাল শ্রমশক্তি ও অভ্যন্তরীণ বিরাট বাজার থাকায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের শিল্পসমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে।
শিল্পমন্ত্রী গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান।
শিল্প সচিব কেএম আলী আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) মহাপরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাউদ্দিন মাহমুদ ও একেএম শামসুল আরেফিন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুত্ফুন নাহার বেগম। এতে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে দেশের সব সেক্টরে পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শনের ভিত্তিতেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওপর বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য অর্জনের মূল দায়িত্ব বর্তায় উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্প সচিব কেএম আলী আজম বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসম্ভব দূরদর্শী রাজনীতিবিদ এবং ভীষণ মেধাবী অর্থনীতিবিদ।
