ছয় শিল্প এলাকা

৬০১৪ কারখানার শ্রমিকদের ঈদ বোনাস পরিশোধ বা‌কি

নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রমিক-মালিক-সরকার ত্রিপক্ষীয় সিদ্ধান্তে ২৫ থেকে পিছিয়ে ২৭ জুলাই, দিন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিলো ঈদ বোনাস পরিশোধের। প্রতিশ্রুত ২৭ জুলাই গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয় শিল্প এলাকায় বোনাস পরিশোধ হয়েছে এমন কারখানা সংখ্যা ১ হাজার ৫৮৮টি। মোট ৭ হাজার ৬০২টির মধ্যে বোনাস অপরিশোধিত কারখানা ৬০১৪টি। 

আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনা শিল্প অধ্যুষিত এই ছয় এলাকায় শিল্প কেন্দ্রীভবনের কারণেই একক খাতভিত্তিক কারখানার সংখ্যা বেশি। শুধু পোশাক খাতের কারখানা আছে ২ হাজার ৮৯৩টি। এ খাতেরই ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ বস্ত্র শিল্পের কারখানা আছে ৩৮৯টি। এছাড়া বেপজার আওতায়ও আছে বস্ত্র ও পোশাক খাতের কারখানা। এভাবে ছয় শিল্প এলাকায় মোট ৭ হাজার ৬০২টির মধ্যে পোশাক খাত কেন্দ্রীক মোট কারখানার সংখ্যা ৩ হাজার ৩৭২টি। বোনাস পরিশোধের চিত্রেও এ কেন্দ্রীভবনের প্রতিফলন দেখা যায়।

ছয় শিল্প এলাকায় বিজিএমইএর সদস্য ১৪৩৯টি কারখানার বোনাস পরিশোধ হয়নি। শিল্প এলাকাগুলোতে বিজিএমইএ সদস্য মোট কারখানা ১ হাজার ৮৮২টি। বিকেএমইএর সদস্য মোট ১ হাজার ১০১টি কারখানার মধ্যে বোনাস পরিশোধ হয়নি ৯৬৭টিতে। বস্ত্র খাতের সংগঠন বিটিএমএ সদস্য ৩৮৯ কারখানার মধ্যে ৩০৫টি কারখানার শ্রমিকদের বোনাস পরিশোধ হয়নি।

বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) আওতাভুক্ত মোট ৩৬৪টি কারখানার মধ্যে বোনাস পরিশোধ হয়নি ১৬৫টিতে। ছয় শিল্প এলাকায় বস্ত্র ও পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর ও বেপজার আওতাভুক্তগুলোর বাইরে চামড়াজাত পণ্য, আসবাব, সেলফোন সংযোজন, ওষুধ সব খাত মিলিয়ে অন্যান্য কারখানা আছে ৩ হাজার ৮৬৬টি। যার মধ্যে বোনাস পরিশোধ হয়নি ৩ হাজার ১৩৮টি কারখানার।

দেশের ছয় শিল্প এলাকার ৭ হাজার ৬০২টি কারখানায় ৪০ থেকে ৪১ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। ঈদ উল ফিতরে এই শ্রমিকদের একটা অংশ নিজ এলাকায় বাড়িতে ঈদ উদযাপন করেছেন। অনেকে যেতে চাইলেও আর্থিক কারণে যেতে পারেননি।

শিল্প পুলিশের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ২৬ এপ্রিল থেকে কারখানা চালুর ঘোষণা আসার পরে শ্রমিকদের বড় একটি অংশ আসেনি। কারণ কারখানা চালু হয়নি। শুরুতে ৩ হাজার কারখানা বন্ধ ছিলো। এখনও গড়ে প্রায় দুই হাজার কারখানা বন্ধই থাকছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন