পরিবেশবান্ধব পুনরুদ্ধারে ৩৫ কোটি পাউন্ড বরাদ্দ যুক্তরাজ্যে

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে নাকাল ব্রিটিশ অর্থনীতিকে টেনে তুলতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। তবে এই পুনরুদ্ধার যেন পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়, সে লক্ষ্যে টেকসই উত্তরণ পরিকল্পনা সাজিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এরই অংশ হিসেবে তিনি ভারী শিল্প, নির্মাণ, মহাকাশ পরিবহন খাতে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে ৩৫ কোটি পাউন্ডের (৪৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার) তহবিল বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর ব্লুমবার্গ।

তহবিলের অর্থ জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেনের ব্যবহার বাড়ানো, কার্বন ক্যাপচার স্টোরেজ প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং ভারী শিল্পে উদ্ভাবনী উপকরণের ব্যবহার বৃদ্ধির কাজে লাগানো হবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়েছে।

২০৫০ সাল নাগাদ নিজেদের অর্থনীতিকে কার্বন নিঃসরণমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে যুক্তরাজ্য। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক উভয়েই নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে অর্থনৈতিক উদ্ধারের প্রক্রিয়াটি পরিবেশবান্ধব রাখার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। ৩৫ কোটি পাউন্ডের তহবিল বরাদ্দ সে লক্ষ্য পূরণের পথে দ্বিতীয় পদক্ষেপ। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে উষ্ণায়ন প্রতিরোধে ৩০০ কোটি পাউন্ডের একটি বিনিয়োগ তহবিল বরাদ্দের ঘোষণা দেন ঋষি সুনাক।

এক বিবৃতিতে বরিস জনসন উল্লেখ করেন, জ্বালানি ব্যবস্থা পরিবেশবান্ধব এবং করোনার প্রভাব থেকে অর্থনীতি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া টেকসই হওয়াটা মুহূর্তে খুবই জরুরি। সবুজ উদ্ভাবনে পথপ্রদর্শক হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে যুক্তরাজ্যের সামনে। কীভাবে টেকসই অর্থনীতি পুনরুদ্ধার কর্মসংস্থান তৈরি করা যায়, বিশ্ববাসীর সামনে তার উদাহরণ তৈরি করতে পারি আমরা।

সর্বশেষ তহবিল প্যাকেজে ভারী শিল্প খাতে হাইড্রোজেন জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো এবং কার্বন ক্যাপচার স্টোরেজ কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর কাজে ১৩ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ১৪ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড বরাদ্দ রাখা হয়েছে ভারী শিল্প খাতে উদ্ভাবনী উপকরণের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য।

অবকাঠামো নির্মাণ খাতে কার্বন নিঃসরণ কমানো যায় এমন ভবন নির্মাণ কৌশল প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড বরাদ্দ রেখেছেন বরিস জনসন। এছাড়া দেড় কোটি পাউন্ড ইউকে স্পেস এজেন্সির জন্য রাখা হয়েছে। এর মধ্যে কোটি পাউন্ড সেসব প্রকল্পে ব্যয় করা হবে, যেগুলোর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা হয়।

বাকি কোটি পাউন্ড মোটরগাড়ি শিল্পে গবেষণা উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা হবে। তহবিল কোম্পানিগুলোকে আরো কার্যকর ইলেকট্রিক মোটর শক্তিশালী ব্যাটারি উৎপাদনে সহায়তা করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন