বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি

ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের অন্যতম প্রধান আসামি লঞ্চের মাস্টার আবুল বাসারকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রোববার দিবাগত রাতে তাকে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি মাগুড়ার মোহাম্মদপুর থানার কলাগাছি গ্রামে ও তার বাবা মৃত সিরাজুল হক মোল্লা।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার বলেন, র‌্যাব-১০ এর একটি দল রাতে অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা থেকে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ ডুবির ঘটনার অন্যতম প্রধান আসামি ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লঞ্চ ডুবির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি ছিলেন তিনি।

ঘটনার পর থেকে আবুল বাসার আত্মগোপনে চলে যান জানিয়ে সুজয় সরকার জানান, তিনি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপন করে আসছিলেন।

র‌্যাব জানায়, দুর্ঘটনার দিন তিনি মাগুরাতে নিজ গ্রামে চলে যায় এবং রাতের খাবার খেয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি বাড়িতে রাত্রীযাপন করে। পরদিন ফরিদপুরে আলফাডাংগা যান এবং সেখানে দুদিন অবস্থান করার পর ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার আখালিপাড়া তার ভায়রার ভগ্নিপতির বাড়িতে অবস্থান করে। এরপর স্থান পরিবর্তন করার জন্য ঢাকার দিকে আসছিল। অবশেষে র‌্যাব-১০ এর আভিযানিক দলটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তার অবস্থান জানতে পেরে তাকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাক থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এরআগে, গত ২৯ জুন রাজধানীর সদরঘাটে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা ‘মর্নিং বার্ড’ নামে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। এ ঘটনায় ডুবে যাওয়া মর্নিং বার্ড লঞ্চের ৩৪ জন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লঞ্চ ডুবির ঘটনায় নৌপুলিশ বাদি হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টার, স্টাফসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে সাতজনকে আসামি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেককে রাজধানীর সোবহানবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে নৌ পুলিশ। তার আগে গ্রেফতার হয় ময়ূর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আবদুস সালাম।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন