প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের মানুষ সক্ষম

খুশী কবির

বাংলাদেশের উন্নয়ন দেশের মানুষকে গড়ে তোলার জন্য স্যার ফজলে হাসান আবেদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি মনে করি তার প্রয়াণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিরাট একজন ব্যক্তিকে হারিয়েছে। তিনি তার কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের মানুষ সক্ষম। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ওপর তিনি অগাধ আস্থা রাখতেন। আস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য জীবন উত্সর্গ করেছেন।

আজ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে যে উন্নতি লাভ করছে, সেখানে আবেদ ভাইয়ের অবদান রয়েছে। আমি বলব না এককভাবে শুধু তার অবদান, এখানে বাংলাদেশের সরকারও অনেক ভূমিকা রেখেছে।

সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে তিনি ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটি এখন শুধু দেশের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান নয়, সারা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম এনজিও হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে; যা সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। তার জীবনের স্বপ্ন ছিল বঞ্চিতদের উন্নয়নের ক্ষেত্র তৈরি। তিনি ব্র্যাকের মাধ্যমে দেশী বিদেশী বঞ্চিতদের এমনভাবে শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলেছেন, যার মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।

ব্র্যাকের কার্যক্রম দেখে বিশ্ববাসীর অনেকেই মুগ্ধ হয়েছেন। তার যে নেতৃত্বের দক্ষতা, তা অন্য মানুষের মধ্যে তেমন দেখা যায় না। প্রত্যেকের মধ্যে এমন গুণাগুণ থাকে না। বিশেষ করে আমি তো অনেক মানুষকে দেখেছি, নেতৃত্বের অন্যান্য গুণ ছিল আবেদ ভাইয়ের মধ্যে। তার সঙ্গে আমার নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। প্রথম দিকে যখন ব্র্যাক প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। তখন থেকে ব্র্যাকের সঙ্গে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত আমি আবেদ ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করেছি।

তার কাছে থেকে অনেক কিছু শিখেছি তো বটেই। আজ আমি যে পর্যায়ে এসেছি, সেখানেও তার অবদান রয়েছে। আট বছর তার সঙ্গে কাজ করার সুবাদে আমি যে শিক্ষা লাভ করেছি, যা পরবর্তী জীবন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তা শুধু কাজের ক্ষেত্রে নয়, আমার চিন্তার ক্ষেত্রেও। আমাদেরকে সঠিক শিক্ষায় গড়ে তুলতে তিনি প্রচুর সময় দিয়েছেন।

তিনি যখন গ্রামের মানুষের সঙ্গে কাজ করতেন, তখন এক রকম আর যখন ঢাকায় ব্র্যাকের অফিসে বসতেন, তখন কিন্তু তিনি ভীষণ ভিন্ন রকম। দেখে মনে হতো তারা দুজন আলাদা আবেদ ভাই। তিনি অনেক দক্ষতাসম্পন্ন পরিশ্রমপ্রিয় মানুষ ছিলেন। গ্রামের মানুষের সঙ্গে যখন তিনি কথা বলতেন বা কাজ করতেন, তখন ওদের সঙ্গে মিশে যেতেন। তারা যেভাবে কাজ করত, তিনিও সেভাবে করতেন। দেখে উপলব্ধির উপায় ছিল না তিনি ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ। গ্রামের মানুষের ওপর তার যে এত ভালোবাসা ঢাকায় যারা তাকে দেখেছেন, তারা এটা বুঝতে পারবেন না।

আবেদ ভাই খুবই শৌখিন একজন মানুষ ছিলেন। তার রুচি চলাফেরায় সে শৌখিনতা প্রকাশ পেত। কিন্তু কাজের সুবাদে যখন গ্রামে যেতেন, তখন তিনি ভিন্ন। গ্রামের মানুষ যখন বিভিন্ন প্রয়োজনে ঢাকায় তার অফিসে আসত, তখন সাদরে তাদের গ্রহণ করতেন। হয়তো সুনামগঞ্জের হাওড় থেকে কোনো মাঝির ছেলে বা মাছ ব্যবসায়ী তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন, তিনি দেখা করার সুযোগ দিতেন। অন্যদের যেমন প্রটোকল মেনে দেখা করতে হতো, গ্রামের ওই সাধারণ মানুষেরা ঢাকায় এসে কিন্তু সহজে তার সঙ্গে দেখা করতে পারত। তার মানে তিনি সবাইকে কাজের স্বীকৃতি দিয়েছেন। সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে কোনো সময় আলাদা চোখে দেখেননি। আমি তাকে গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে দেখেছি। গ্রামের জেলে, কৃষক

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন