স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটায় অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৩ ঠিকাদার ও তাদের
মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সচিব মুহাম্মাদ দিলোয়ার
বখতের পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার ওই
চিঠি পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা ও এ ধরনের দুর্নীতি-প্রতারণা বন্ধে ঠিকাদার ও তাদের মালিকানাধীন
প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করে দুদক।
যে ১৩ ঠিকাদারকে
দুদক চিঠি পাঠিয়েছে তারা হলেন রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং রুপা ফ্যাশনের
স্বত্বাধিকারী রুবিনা খান, মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিন ও মেসার্স এস কে
ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মনজুর আহমেদ, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী
ফারুক হোসাইন, এমএইচ ফার্মার
স্বত্বাধিকারী মোসাদ্দেক হোসেন, মেসার্স অভি ড্রাগসের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, মেসার্স আলবিরা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী মো. আলমগীর হোসেন, এসএম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মিন্টু, মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের
স্বত্বাধিকারী আব্দুস সাত্তার সরকার, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির
স্বত্বাধিকারী জাহির উদ্দিন সরকার, ইউনিভার্সেল ট্রেড করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী
মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, এএসএলের স্বত্বাধিকারী আফতাব আহমেদ ও ব্লেয়ার এভিয়েশনের স্বত্বাধিকারী মো. মোকশেদুল ইসলাম।
দুদকের চিঠিতে বলা
হয়েছে,
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের ভারী ও প্রয়োজনীয়
যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রায়ই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। দুদকের
অনুসন্ধানে দেখা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে এক শ্রেণীর অসাধু
কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে
কতিপয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও প্রচলিত বাজার মূল্যের চেয়ে
কয়েক গুণ বেশি দামে বিভিন্ন চিকিৎসা যন্ত্র, ভারী যন্ত্রপাতি ইত্যাদি ক্রয় করে থাকে। চিঠিতে আরো
বলা হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে
মালামাল সরবরাহ না নিয়েও বিল পরিশোধের ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে অসাধু ঠিকাদার
সিন্ডিকেট গঠন করে এ ধরনের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে। সিন্ডিকেটের কারণে
প্রতিযোগিতামূলক দর না পাওয়ায় প্রচলিত বাজারমূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে
উল্লেখিত সামগ্রী ক্রয় করতে হয়। এর ফলে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ ক্ষতিসাধনসহ
আত্মসাতের সুযোগ সৃষ্টি হয়। বিগত কয়েক বছরে এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক
অনুসন্ধান শেষে কয়েকটি মামলা দায়েরের পাশাপাশি ঠিকাদার ও তাদের প্রতিষ্ঠানের
তালিকা তৈরি করেছে।