পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ

বণিক বার্তা ডেস্ক

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মহানবী হজরত মোহাম্মদের (সা.) জন্ম ওফাত দিবস। জাতীয়ভাবে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।

দিবসটি উপলক্ষে গতকাল পৃথক দুই বাণীতে বিশ্ববাসীসহ মুসলিম উম্মাহ এবং দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, ধর্মীয় পার্থিব জীবনে মহানবী রাসূলের (সা.) শিক্ষা সমগ্র মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়।

তিনি বলেন, হজরত মোহাম্মদের (সা.) জন্ম ওফাতের স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বিশ্ববাসী, বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহতায়ালা হজরত মোহাম্মদকে (সা.) সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। দুনিয়ায় তার আগমন ঘটেছিল সিরাজাম মুনিরা তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপ রূপে। তত্কালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা। আল্লাহর প্রতি অতুলনীয় আনুগত্য, অগাধ প্রেম ভালোবাসা, অনুপম চারিত্রিক গুণাবলি, অপরিমেয় দয়া মহৎ গুণের জন্য তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিষিক্ত।

এদিকে পৃথক এক বাণীতে আজকের দ্বন্দ্ব্ব-সংঘাতময় বিশ্বে প্রিয়নবীর (সা.) অনুপম শিক্ষা অনুসরণের মাধ্যমেই বিশ্ব শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাণীতে তিনি বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মহানবীর (সা.) সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা শান্তি নিহিত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাপাচার, অত্যাচার, মিথ্যা, কুসংস্কার সংঘাত জর্জরিত পৃথিবীতে তিনি মানবতার মুক্তিদাতা ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়ে সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। তিনি বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন এবং মানবকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন