দৈনন্দিন লেনদেন সম্পন্ন করার মতো পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার (কলমানি) থেকে অর্থ ধার করে ব্যাংক। কলমানি ছাড়াও অন্য ব্যাংকের কাছে ট্রেজারি বিল-বন্ড জমা রেখে রেপোতে ধার নিতে পারে ব্যাংকগুলো। কলমানি ও আন্তঃব্যাংক রেপোতে ধার না পেলে শরণাপন্ন হতে হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের জুন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ধার করার প্রবণতা বেড়েছে। এর মধ্যে শুধু চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে রেপোতে ৮৮ হাজার কোটি টাকার বেশি ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বাইরে প্রতি মাসে স্পেশাল রেপো বাবদ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ধার দিতে হয়েছে। প্রতি মাসে হাজার কোটি টাকা করে ধার দিতে হয়েছে অ্যাসুরেড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) হিসাবেও। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সংকট মেটাতে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ আগে কখনো ধার দিতে হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংককে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো, স্পেশাল রেপো এবং এএলএসের মাধ্যমে যে পরিমাণ অর্থ ধার দিয়েছে, তা অতীতে কখনই হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ ধার না দিলে অনেক ব্যাংকই গ্রাহকদের টাকা দিতে পারত না। এতে ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা বেড়ে যেত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছয় মাসেই ১ লাখ কোটি টাকার বেশি ধার দিয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থেই বাংলাদেশ ব্যাংক সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে নগদ তারল্যের সংকট ছিল। তবে এ মুহূর্তে এ সংকট অনেকটাই কেটে গেছে। আশা করছি, ডিসেম্বর নাগাদ তারল্য সংকট পুরোটাই কেটে যাবে।
দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) ও নগদ অংশ সংরক্ষণ (সিআরআর) অনুপাত ঠিক রাখতে কলমানি বাজার থেকে টাকা ধার করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। দেশের মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এ টুলটিই সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয়। কলমানিতে পর্যাপ্ত অর্থ না পেলে অন্য ব্যাংকের কাছে সিকিউরিটি হিসেবে ট্রেজারি বিল-বন্ড জমা রেখে রেপোতে ধার নেয়া যায়। এর বাইরে ডলার সোয়াপ করেও অন্য ব্যাংক থেকে ধার নিতে পারে ব্যাংকগুলো। আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে সুদহার অনেক বেশি হলে কিংবা টাকা না পাওয়া গেলে তবেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে অর্থ ধার দিতে রেপো, স্পেশাল
- চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে
- প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ
- চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত বৈমানিকের মৃত্যু
- পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানতে মাঠে নেমেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
- পিকে হালদারের সহযোগী বাসুদেব ও পাপিয়া দম্পতির আগাম জামিন
- ঋণের সুদহার পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক