বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বৈশ্বিক সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের আয় ডাবল ডিজিটে বেড়েছে। ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা কোম্পানিটির আয় বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশন প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে সম্প্রতি এমন তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এপি।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে অ্যালফাবেটের আয় বেড়েছে ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ। ওই প্রান্তিকে কোম্পানিটি আয় করেছে ৮ হাজার ৫৪ কোটি ডলার, যা ফ্যাক্টসেট রিসার্চের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে।
এ প্রান্তিকে অ্যালফাবেট নিট আয় করেছে ২ হাজার ৩৬৬ কোটি ডলার বা শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ ডলার ৮৯ সেন্ট। এটি গত বছরের একই প্রান্তিক থেকে ৫৭ শতাংশ বেশি। এছাড়া কোম্পানির বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার।
অ্যালফাবেটের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর শেয়ারদর প্রায় ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এ গতিতে চলতে থাকলে কোম্পানির শেয়ারদর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে এ বৈশ্বিক টেক জায়ান্ট বেশির ভাগ অর্থ আয় করেছে সার্চ ইঞ্জিন গুগলের মাধ্যমে। এ সময় গুগলের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের আয় ছিল মোট ৬ হাজার ১৬৬ কোটি ডলার, যা ২০২৩ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি।
এআই-নির্ভর গুগলের ক্লাউড কম্পিউটিং বিভাগও দ্রুত প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করছে। এ বিভাগে প্রথম প্রান্তিকে আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেড়ে ৯৫৭ কোটি ডলার হয়েছে।
তবে চলমান সাফল্য সত্ত্বেও বেশকিছু বিষয়ে বিপদে রয়েছে গুগল। মার্কিন বিচার বিভাগ সম্প্রতি এ সার্চ ইঞ্জিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর অন্যায্য সুবিধা পেতে অ্যাপলের মতো প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সঙ্গে লোভনীয় চুক্তি করেছে অ্যালফাবেট। এর মাধ্যমে সম্ভাব্য উদ্ভাবনের পাশাপাশি প্রতিযোগিতা দমিয়ে রাখতে কোম্পানিটি ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।
এদিকে পাবলিক কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো শেয়ারহোল্ডারদের প্রান্তিক লভ্যাংশ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে অ্যালফাবেট। যদিও প্রযুক্তি খাতে দুই পাওয়ার হাউজ মাইক্রোসফট ও অ্যাপল আগে থেকেই শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। শেয়ার প্রতি ২০ সেন্ট প্রান্তিক লভ্যাংশ আগামী ১৭ জুন দেবে অ্যালফাবেট। বিনিয়োগবিষয়ক ওয়েবসাইট ইনভেস্টিং ডটকমের বিশ্লেষক থমাস মন্টিরো অ্যালফাবেটের এ সিদ্ধান্তকে ‘প্রযুক্তি বাজারে তাজা বাতাস’ উল্লেখ করে প্রশংসা করেন।
মার্চে প্রায় ১ লাখ ৮১ হাজার কর্মী ছিল অ্যালফাবেটে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১০ হাজার কম।