ছবি : বণিক বার্তা বৈষম্য বেশি হলে দেশ এগোতে পারে না। কেননা এতে ফাঁদ তৈরি হয়। অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়লে তা রাজনীতিকে প্রভাবিত করে। এ বৈষম্যের ফাঁদে পড়লে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বাংলাদেশের যে ভিশন তা বাস্তবায়ন হবে না। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক অনুষ্ঠানে গতকাল এ কথা বলেন জাতিসংঘের সাবেক গবেষণা প্রধান ও জাপানের এশিয়ান গ্রোথ ইনস্টিটিউশনের ভিজিটিং প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম।
আবদুল গাফফার মেমোরিয়াল লেকচার ২০২৪ শীর্ষক এ আয়োজনের বিষয়বস্তু ছিল ‘আগামী বাংলাদেশের দশ করণীয়’। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়নের দ্বিতীয় পর্বের করণীয় সম্পর্কে ১০টি প্রস্তাব তুলে ধরেন ড. নজরুল ইসলাম। এগুলো হলো অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস, সুশাসন অর্জন, গণতন্ত্রের মানোন্নয়ন ও আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার প্রবর্তন, পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, গ্রাম পরিষদ গঠন, ভৌগোলিক বৈষম্য অবসান, সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি, নারী, শিশু, তরুণ ও বৃদ্ধদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ প্রদান, সর্বজনীন সামরিক শিক্ষা প্রবর্তন এবং সার্বভৌমত্ব শক্তিশালীকরণ ও নিরপেক্ষ বৈদেশিক নীতির অনুসরণ।
বিআইডিএস মহাপরিচালক বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. রওনক জাহান এবং বিআইডিএসের রিসার্চ ডিরেক্টর ড. কাজী ইকবাল। আরো উপস্থিত ছিলেন ড. মসিউর রহমান, অধ্যাপক রেহমান সোবহান প্রমুখ।
