দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু
ও নিরপেক্ষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। আরো
বলেন, দেশ, ভবিষ্যত ও অর্থনীতিকে রক্ষা করতে হলে এবার নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য
করতেই হবে। খবর বাসস।
আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের জন্য নিয়োজিত
৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।সিইসি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক
হলো আমাদের নির্বাচনে বাইরে থেকে থাবা বা হাত এসে পড়েছে। তারা আধিপত্য বিস্তার করে
রেখেছে। ওরা খুব বেশি দাবি করেনি। তাদের একটাই দাবি বাংলাদেশের নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার
এবং ক্রেডিবল হতে হবে। আমাদের অর্থনীতি, আমাদের ভবিষ্যৎ, আমাদের অনেক কিছু রক্ষা করতে
হলে, সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে হলে, আমাদের গার্মেন্টসকে বাঁচাতে হলে নির্বাচনটাকে সুষ্ঠু,
গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেয়ারনেসকে কেন্দ্র
করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বিভক্ত হয়ে গেছে, এটা কাঙ্ক্ষিত ছিল না। সেই জন্য বলা হয় ইলেকশন
ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল বিশ্বাসযোগ্য জিনিস এটা চোখে দেখা যায় না। তারপরও এটাকে
বলা হয় পাবলিক পারসেপশন। নির্বাচন ক্রেডিবল ও ফ্রি হয়েছে কিনা- ওটা পাবলিক পারসেপশন
এটার কোনো মানদণ্ড নেই। জনগণকে বলতে হবে নির্বাচন ক্রেডিবল হতে হবে।’
‘নির্বাচনের দিন ব্যর্থ হতে চায় না
কমিশন’ এ কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, যারা নির্বাচন করবেন তাদের সহযোগিতা ছাড়া কমিশনের
একার পক্ষে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে নয়।
তিনি বলেন, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে
ভোট কেন্দ্রে এসে নিজেদের ভোট প্রয়োগ করে ফিরে যেতে পারে এবং ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট
না থাকলে কোনো প্রার্থীর অভিযোগ আমলে নেয়া হবে না।
সুষ্ঠু, অবাধ ও আইনানুগভাবে দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচনী
অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে
তিনদিনের প্রশিক্ষণের প্রথম দিন ১০৫ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
আগামীকাল ১০৩ জন ও পরদিন ৯২ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।