সাইবার ক্রাইম সাইট জেনেসিস জব্দ

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বে সাইবার অপরাধীদের সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস জেনেসিস জব্দ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অভিযান চালিয়ে এটি বন্ধ করেছে। এ ক্র্যাকডাউনকে অপারেশন কুকি মনস্টার নাম দেয়া হয়েছে। খবর বিবিসি।

জেনেসিস মার্কেট নামের সাইটে এক ব্যানারে উল্লেখ করা হয়, এ সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ডোমেইন এফবিআই জব্দ করেছে। এমনকি পুরো সাইটে সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি কুইন্টেলসহ ইউরোপীয়, কানাডীয় ও অস্ট্রেলীয় আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার লোগোও দেখা যায়।

গত বুধবার এ আন্তর্জাতিক কর্মযজ্ঞ পরিচালনার কথা জানায় যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। এনসিএর থ্রেট লিডারশিপ বিভাগের মহাপরিচালক রব জোন্স বলেন, ‘‌আমাদের মূল্যায়ন বলছে, জেনেসিস বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটপ্লেস।’

সংস্থাটির অনুমান বলছে, ২০ লাখের বেশি ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় আট কোটি পরিচয়পত্র ও ডিজিটাল আঙ্গুলের ছাপ চুরি করেছে এ ডার্ক সাইট। মার্কিন বিচার বিভাগের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল লিসা মোনাকো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‌অভিযানে ফোরামের অনেক ব্যবহারকারীকে আটক করা হয়েছে।’

এফবিআইর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে এ গ্রেফতার কার্যক্রম পরিচালনার কথা নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত আর কোনো তথ্য জানায়নি। জেনেসিসের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম এখনো চলমান।

ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ অপারেশনে জড়িত ছিল ১৭টি দেশ। এর নেতৃত্ব দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ও ডাচ ন্যাশনাল পুলিশ। ব্রিটিশ সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি সার্চলাইট সাইবারের বিশ্লেষক লুইজ ফেরেট বলেন, ‘‌জেনেসিসের বিশেষত্ব হলো বিভিন্ন ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করা। বিশেষ করে, বিভিন্ন ক্ষতিকারক সফটওয়্যারের মাধ্যমে আক্রান্ত কম্পিউটার থেকে ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্ট চুরি করা।’

তিনি আরো বলেন, ‘‌এসব ফিঙ্গারপ্রিন্টে প্রায়ই বিভিন্ন পরিচয়পত্র, কুকি, ইন্টারনেট প্রোটোকল ঠিকানা ও অন্যান্য ব্রাউজার বা অপারেটিং সিস্টেমের বিস্তারিত তথ্য থাকে। ফলে অপরাধীরা একাধিক স্তরের প্রমাণীকরণ বা ডিভাইস ফিঙ্গারপ্রিন্টিং এড়ানোর মতো বিভিন্ন জালিয়াতিবিরোধী সমাধানের জন্য এগুলো ব্যবহার করতে পারে। সাইটটি ২০১৮ সাল থেকেই সক্রিয় ছিল।’

এনসিএ বলেছে, চুরি করা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জেনেসিস ৭০ সেন্ট থেকে শুরু করে হাজারের বেশি ডলার পর্যন্ত দামে বিভিন্ন পরিচয়পত্র বিক্রি করত। এ তদন্তে জড়িত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, আইসল্যান্ড, ইতালি, নিউজিল্যান্ড, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন