ডিজিটাল
প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিপণ্য ও বাজারের সাপ্লাই
চেইন এবং ফুড সেফটি নিশ্চিত করা হবে। সারসহ বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা, জোগান, সরবরাহ ও মান কেন্দ্রীয়ভাবে
দেখভাল করা হবে। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
বিভাগের সঙ্গে এক সমঝোতা স্মারক
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এসব কথা বলেন। সমঝোতা স্মারকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
বিভাগের পক্ষে সচিব মো. সামসুল আরেফিন স্বাক্ষর করেন।
বাজারে কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্য উৎপাদনেও কোনো সমস্যা নেই, সমস্যা আছে সরবরাহে। সেজন্য আমরা প্রযুক্তি ব্যবহারে আইসিটি বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করলাম। এর মাধ্যমেই আমরা দুর্নীতিকেও বিদায় জানাব। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা মালয়েশিয়া ও কোরিয়ার কাতারে থাকতাম। তবে বঙ্গবন্ধু কন্যার দৃঢ় নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জনের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অনুকরণীয় হচ্ছে।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে। ৭০ লাখের বেশি ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাকে ডিজিটাল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে উভয় মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করবে। এখন আইসিটি খাতকে বিশ্বে অষ্টম অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের রয়েছে। এজন্য আমরা স্মার্ট ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে চাই।’
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, ‘এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। জাতীয় উৎপাদনশীলতা বাড়বে। আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় স্মার্ট ফার্টিলাইজার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বাস্তবায়নের ফলে সব ধরনের সার পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিতরণ কার্যক্রম সহজতর হবে। পাশাপাশি চিনি, লবণ এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার সব ধরনের পণ্যের উৎপাদন থেকে বিপণনে স্মার্ট ব্যবস্থাপনায় আনার লক্ষ্যে ভেহিকল ট্র্যাকিং, ইআরপি সিস্টেমের পাশাপাশি পণ্যসামগ্রীর বাজারজাতে ই-কমার্স প্রচলন করা হবে।’
