জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার তিনটি বইয়ের
জন্য ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করেছে ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার
(এফওএসডব্লিউএএল)। আজ রবিবার (২৬ মার্চ) প্রখ্যাত পাঞ্জাবি ঔপন্যাসিক এবং এফওএসডব্লিউএএল-এর
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অজিত কৌর আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনের আঞ্চলিক সম্মেলনে বাংলাদেশি লেখক
ও গবেষক রামেন্দু মজুমদার ও মফিদুল হকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে
এই অনুষ্ঠান হয়।
বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই হল—অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা
এবং আমার দেখা নয়াচীন ১৯৫২।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে রোববার সকালে শুরু হয়েছে এফওএসডব্লিউএএল
-এর তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক সাহিত্য সম্মেলন। সম্মেলনে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয়
অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক বিশিষ্ট লেখক-সাহিত্যিক অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে সম্মেলনের উদ্বোধনের তাৎপর্য
বর্ণনা করে অজিত কাউর এর আগে এক বার্তায় লিখেছিলেন যে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে
বাংলাদেশের বিজয় ছোট ঘটনা ছিল না।
তিনি আরো লেখেন, জাতির পিতার দৃঢ় প্রত্যয়ের সবচেয়ে অনন্য
সাহসিকতার মাধ্যমে এটি একটি অনন্য কৃতিত্ব ছিল- যাকে ভালবাসায় ‘বঙ্গবন্ধু’
বলা হয়। যিনি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষা রক্ষার জন্য সিংহের মতো লড়াই করেছিলেন। যে কোনো
মানুষের জীবনের চেয়েও একটি দেশের মর্যাদা সংরক্ষণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ!’
অজিত কাউর লেখেন, বিশ্বজুড়ে মানুষ ভূমি ও অঞ্চলের জন্য,
বিদেশী নিপীড়ক বা রাজা ও স্বৈরশাসকদের কাছ থেকে তাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে।
কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ভিন্ন ও অনন্য। কারণ এটি ছিল ‘মানুষের প্রাণবন্ত
আত্মা’ সংরক্ষণ যা- শুধুমাত্র তার নিজস্ব সংস্কৃতি এবং নিজস্ব
ভাষায় স্পন্দিত এবং বিকাশ লাভ করে।
বার্তায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে না থাকলেও তিনি
আমাদের জন্য তিনটি মূল্যবান ও চিন্তাশীল বই রেখে গেছেন। তাই এই মহান মানবের প্রতি শ্রদ্ধা
জানাতে তাকে (বঙ্গবন্ধু) এফওএসডব্লিউএএল সাহিত্য উৎসব-২০২৩-এর সম্মাননা দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে এফওএসডব্লিউএএল আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন
বিশিষ্ট লেখক সেলিনা হোসেন, রামেন্দু মজুমদার,
মহিদুল হক ও মোহিত কামাল। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান
মাহমুদ এবং হাইকমিশনের পক্ষে কনস্যুলার (রাজনৈতিক) সফিউল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।