পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের উদ্যোক্তা একেএম শহীদ রেজা ব্যাংকটির ১৪ লাখ ৪৬ হাজার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে তার কাছে ব্যাংকটির ৪ কোটি ৭৭ লাখ ৯৪ হাজার ১২৬টি শেয়ার রয়েছে। যা থেকে ঘোষণাকৃত শেয়ার আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পাবলিক মার্কেটে বিদ্যমান বাজারদরে বিক্রি করবেন এ উদ্যোক্তা। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মার্কেন্টাইল ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৮৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৩৭৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১০৮ কোটি ৪৮ লাখ ৭৭ হাজার ৮৭৮। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩৬ দশমিক ১৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৩ পয়সা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস বেড়েছে ২৯ পয়সা বা ১৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৩২ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৮১ পয়সায়। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২২ টাকা ৫৮ পয়সা।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছিল মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। এরই মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন করেছে ব্যাংকটি। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৪৬ পয়সা, যা আগের বছরে ছিল ২ টাকা ১৬ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৯১ পয়সায়।
