মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ

পোষা প্রাণী থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ

বণিক বার্তা অনলাইন

সংগৃহীত

মাঙ্কিপক্স ভাইরাস পশু থেকে মানবদেহে ছড়ায়। তাই যাদের পোষা প্রাণী আছে তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। একই সঙ্গে বাংলাদেশে এখনো কোনো মাঙ্কিপক্সের রোগী ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার বিএসএমএমইউ-তে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানিয়েছেন। 

বিএসএমএমইউ উপাচার্য, গুটিবসন্তের টিকা মাঙ্কিপক্স থেকে ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে অথবা সম্ভব হলে চারদিনের মধ্যে এই টিকা ব্যবহার করতে হবে। এসময় মানুষকে যে কোনো ধরনের গুজব বা আতংক এড়িয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলার পরামর্শ দেন ডা. শারফুদ্দিন ।

তিনি বলেন বলেন, সারা বিশ্ব থেকেই খবর পাওয়া যাচ্ছে যে পশু থেকে সংক্রমিত হয়েছে। যাদের ঘরে পোষ্য প্রাণী আছে তাদের একটু সতর্ক থাকতে বলবো। পোষ্য প্রাণির কামড়, আঁচড় বা লালা থেকে যেন তারা নিজেকে সুরক্ষিত রাখে। 

অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, যদি কোন ব্যক্তির শরীরে এ রোগ শনাক্ত হয় তাহলে তাকে ২১ দিনের আইসোলেশন থাকতে হবে ও তার সংস্পর্শে যারা আসছেন তাদের কেউ আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।  সঠিক সময়ে  মধ্যে টিকা দিলে এ রোগ ভালো হয়ে যাবে, কোন ধরনের জটিলতা তৈরি হবে না।

দেশে একজনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হওয়ার বিষয়টিকে গুজব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের ডাটাবেজে মাঙ্কিপক্স রোগী ভর্তির কোনও তথ্য নেই। সর্বোপরি এমন গুজব প্রতিরোধে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। মূলত গণমাধ্যম কর্মীদের সোচ্চার ভূমিকার কারণে আজ দেশ একটি বড় গুজব প্রতিরোধ করতে পেরেছে। 

বিএসএমএমইউ রোগীর চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, আমাদের এখানে সবরকম সুযোগ-সুবিধা আছে। আমাদের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রস্তুত আছেন। যদি কখনও মাঙ্কিপক্সের রোগী আমাদের এখানে আসেন আমরা চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত।

মাঙ্কিপক্সের পরিচিতি বর্ণনা করে তিনি বলেন, মাঙ্কিপক্স একটি ডিএনএ ভাইরাস। কাউপক্স, ভ্যাক্সিনিয়া এবং ভ্যারিওলা (স্ম্যালপক্স) এই গ্রুপের ভাইরাস। এটি একটি জুনোটিক ভাইরাস যার প্রাথমিক সংক্রমণ সংক্রমিত প্রাণির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে বা সম্ভবত তাদের অপর্যাপ্তভাবে রান্না করা মাংস খাওয়ার মাধ্যমে ঘটে বলে বিশ্বাস করা হয়। উদাহরণ-জংলী কুকুর, ইঁদুর, খরগোশ, কাঠবিড়ালি, বানর, সজারু ইত্যাদি। ১৯৫৮ সালে ল্যাবরেটরিতে প্রথম বানরের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম দেখা দিয়েছিল বলে ১৯৭০ সালে এর নামকরণ হয় মাঙ্কিপক্স।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইরলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেছা, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক সোহেল মামুন আরাফাত, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার তরফদার প্রমুখ। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন