মন্দা বাজারেও চাঙ্গা মন্দ শেয়ারের দর

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে ছন্দপতন দেখা যাচ্ছে। সময়ে যে কয়দিন সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়েছে তার চেয়ে বেশি দিন পয়েন্ট হারিয়েছে। বাজারের সার্বিক নিম্নমুখিতার সময়ে অধিকাংশ ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। যদিও বেশকিছু মন্দ শেয়ারের ক্ষেত্রে বাজার পরিস্থিতির বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। গত দুই মাসে ধরনের বেশকিছু শেয়ারের দরে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন দেখা গেছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারের সার্বিক নিম্নমুখিতার মধ্যে যেখানে ভালো শেয়ারের দর কমে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে মন্দ শেয়ারের দর বাড়ার পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। তবে স্বল্প মুলধনি এসব কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা কম। তাই সহজেই এগুলোর শেয়ারদরকে প্রভাবিত করা যায়। বাজারের চলমান মন্দা পরিস্থিতিতে মুনাফার আশায় কেউ কেউ এসব কোম্পানির শেয়ার বাড়ার বিষয়টিকে প্রভাবিত করেছে। ঝুঁকি বিবেচনায় পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের এসব শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত বলে মত দিয়েছেন তারা।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাজার ৪৪ পয়েন্টে ছিল। সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল লেনদেন শেষে সূচকটি দাঁড়িয়েছে হাজার ৫৮৫ পয়েন্টে। আলোচ্য সময়ে সূচকটি কমেছে ৪৫৯ পয়েন্ট বা প্রায় শতাংশ। অন্য সূচকের মধ্যে ডিএসইর নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে ১৫৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাজার ৫৯৯ পয়েন্টে থাকা সূচকটি ১৩ এপ্রিল শেষে দাঁড়িয়েছে হাজার ৪৪০ পয়েন্টে। এছাড়া শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত দুই মাসে ৭৩ পয়েন্ট বা দশমিক ২৯ শতাংশ কমে হাজার ৪৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাজার ৫২১ পয়েন্টে থাকা সূচকটি বছরের ১৩ এপ্রিল লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে হাজার ৪৪৮ পয়েন্টে।

গত দুই মাসে উল্লম্ফন হওয়া মন্দ শেয়ারের দর বিশ্লেষণে দেখা যায়, সময়ে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর বেড়েছে ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ২৭ টাকা ৩০ পয়সা। গত ১১ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ৪৬ টাকা ৭০ পয়সায়। সে হিসাবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৯ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭১ দশমিক শূন্য শতাংশ। তবে সর্বশেষ দুই কার্যদিবস শেয়ারটির দর কিছুটা কমেছে।

গত দুই মাসে সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৬৪ টাকা ৪০ পয়সা বা ৩৪ দশমিক ৯২ শতাংশ। গত ১৬ ফেব্রুয়ারির ১৮৪ টাকা ৪০ পয়সার শেয়ারটি ১৩ এপ্রিল শেষে দাঁড়িয়েছে ২৪৮ টাকা ৮০ পয়সায়। মেঘনা কনডেনসেড মিল্কের শেয়ারদর গত দুই মাসে টাকা ৫০ পয়সা বা ২৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর গত দুই মাসে টাকা ৫০ পয়সা বা ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের দশমিক ০৬ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন