সিআইপি কার্ড পেলেন ১৭৬ ব্যবসায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশে পণ্য উৎপাদন, বিপণন, বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ বেসরকারি পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাসে ভূমিকা রাখায় বিভিন্ন খাতের ১৭৬ জন উৎপাদক-রফতানিকারককে কমার্শিয়ালি ইম্পোর্ট্যান্ট পার্সন (সিআইপি) কার্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব ব্যবসায়ীর হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দীন।

দেশের সফল রফতানিকারক, শিল্পপতি ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করার পাশাপাশি তাদের রফতানি বাণিজ্যে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর সিআইপি কার্ড দেয় সরকার।

২০১৮ সালে পণ্য রফতানিতে অবদান রাখায় দেশের ১৩৮ জন ব্যবসায়ীকে এবং পদাধিকারবলে ট্রেড ক্যাটাগরি থেকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৩৮ পরিচালককে গতকাল সিআইপি মর্যাদা দেয়া হয়। এক্ষেত্রে বিবেচিত রফতানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে কাঁচা পাট, পাটজাত দ্রব্য, চামড়াজাত দ্রব্য, হিমায়িত খাদ্য, ওভেন গার্মেন্টস, কৃষিজাত পণ্য, এগ্রো প্রসেসিং, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রডাক্টস, হস্তশিল্পজাত দ্রব্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, কম্পিউটার সফটওয়্যার, নিটওয়্যার, প্লাস্টিকজাত পণ্য, স্পেশালাইজড টেক্সটাইল বা হোম টেক্সটাইল সিরামিক।

কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ব্যবসায়ীদের অবদানের কারণে বাংলাদেশকে পর্যায়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এবার রফতানি আয় হাজার ১০০ কোটি ডলার ধরা হয়েছে। আপনাদের জন্য অর্জন হবে। কারণ, ভিয়েতনাম, চীন থেকে অনেকে বাণিজ্য করতে দেশে আসছেন। তা কাজে লাগাতে হবে। এতে রফতানি বাড়বে। ২০২৪ সালে তা ৮০ বিলিয়ন ( হাজার কোটি) ডলার হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল পর্যায়ে আসতে বিশেষ অবদান রাখছেন সিআইপিরা। আমাকে মন্ত্রীর চেয়ে ব্যবসায়ী হিসেবে অনেকে বিবেচনা করেন। তাই আমিও ব্যবসাকে ভর করে

এগিয়ে যেতে চাই। পণ্যের বাজার প্রসার বহুমুখীকরণের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। করোনার কারণে গত দুই বছর সিআইপি কার্ড দেয়া সম্ভব হয়নি। এবারে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে কার্ড দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এফসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীদের সিআইপিতে ভূষিত করায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের মর্যাদা বাড়ছে। ২০২১ সাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বছরই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়ে হাজার ৫৫৪ ডলারে পৌঁছে গেছে। করোনাকালেও বাণিজ্য রফতানি বেড়েছে।

রমজান মাসে পণ্যের আমদানির ব্যাপারে তিনি বলেন, আমদানি করতেই হবে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশকিছু সিদ্ধান্তের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রফতানি বাজার ধরে রাখার জন্য গবেষণা উদ্ভাবনে জোর দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সাহসী পদক্ষেপের কারণেই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন সম্ভব হবে। করোনাকালেও বাণিজ্যে ভালো করছে। গত ছয় মাসে ৩০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করা সম্ভব হয়েছে। এবার শুধু আরএমজি থেকেই ৩৫ বিলিয়ন ডলার আশা করা যায়। সরকার প্রাইভেট সেক্টর একসঙ্গে কাজ করলে সাফল্য অর্জন হবেই।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন