মহাসড়কে টোল আদায়ের বিধান রেখে বিল পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহাসড়ক এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ টোল আদায়ে সড়ক ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত বিল সংসদে পাস হয়েছে। গতকাল সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মহাসড়ক বিল-২০২১ সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠান এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। গত সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে তোলার পর পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

মহাসড়ক বিল-২০২১-এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, ১৯২৫ সালের হাইওয়ে অ্যাক্ট রহিত করে মহাসড়ক, নির্মাণ, উন্নয়ন রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা অবাধ, সুশৃঙ্খল নিরাপদ যান চলাচলের জন্য নতুন আইন করা হচ্ছে। আইন অমান্য করলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।

সরকার বা সরকারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি মহাসড়ক উন্নয়ন, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ, মহাসড়ক-সংশ্লিষ্ট সুয়ারেজ সিস্টেম, ড্রেন, কালভার্ট, সেতু নির্মাণ সংস্কার করবে। আইনের অধীনে গেজেট দিয়ে সরকার বলে দেবে কোন সড়ক বা মহাসড়কে কে প্রবেশ করবে বা কে প্রবেশ করবে না, কোনটা মহাসড়কের সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে ঘোষণা করা হবে, পরিচালনা কেমন করা হবে এবং কোন সড়কে টোল নেয়া হবে।

বিলে আরো বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব থেকে মহাসড়কের সম্ভাব্য ক্ষতি হ্রাসের জন্য মহাসড়ক নেটওয়ার্কের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলো চিহ্নিত করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব সহনশীল টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। নির্ধারিত মাশুল প্রদান সাপেক্ষে নাগরিক সেবা প্রদানকারী সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ইউটিলিটি সংযোগগুলো মহাসড়কের প্রান্তসীমা বরাবর স্থাপন করা যাবে।

মহাসড়কের উন্নয়ন, মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের সময় প্রয়োজন হলে ওই ইউটিলিটি সংযোগগুলো সেবা প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ খরচে নির্দিষ্ট সময়ে অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে স্থানান্তর করবে। মহাসড়ক নির্মাণ, মেরামত রক্ষণাবেক্ষণের সময় কাজের জন্য নিয়োজিতদের ব্যক্তি মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার শর্ত রাখা হয়েছে।

মহাসড়ক বা সড়কের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি, অবৈধ দখল বা প্রবেশমুক্ত রাখার জন্য কী করণীয় হবে এবং সার্ভে করার জন্য কতদূর পর্যন্ত মানুষের বাড়ি পর্যন্ত ঢুকতে পারবে সেসব বিষয়ে বলা হয়েছে মহাসড়ক বিল-২০২১-এ। এতে আরো বলা হয়, মহাসড়কে ফসল, খড় বা অন্য কোনো পণ্য শুকানো বা অনুরূপ কোনো কাজে মহাসড়ক ব্যবহার করা যাবে না। মহাসড়কের নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনো স্থান দিয়ে পদযাত্রা করা যাবে না বা আইনের অধীন অনুমোদিত উদ্দেশ্যে মহাসড়কের কোনো স্থানে অবস্থান করা যাবে না।

বিলে বলা হয়েছে, সড়ক জনপথ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া মহাসড়কে কোনো বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, তোরণ বা অনুরূপ কিছু টাঙানো বা স্থাপন করা যাবে না। ধীরগতিসম্পন্ন যানগুলো

শুধু মহাসড়কের নির্ধারিত লেনে চলতে পারবে। নির্ধারিত জায়গা ছাড়া মহাসড়কে গবাদি পশু চরানো, প্রবেশ করানো, পারাপার করানো যাবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন