মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ পাম অয়েল ক্রেতা দেশ ইরান। পণ্যটি আমদানিতে মালয়েশিয়ার ওপর নির্ভরতা বাড়ছে ইরানের। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক দেশটি থেকে আমদানি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। বছরের বাকি মাসগুলোতেও আমদানিতে ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে। খবর ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
চলতি বছর ইরান মালয়েশিয়া থেকে ১০ লাখ টনেরও বেশি পাম অয়েল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। জানুয়ারি-মে মাস পর্যন্ত মালয়েশিয়া থেকে আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার ৭০৪ টন পাম অয়েল। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি পাঁচগুণ বেড়েছে। বছরের বাকি সময়ে অতিরিক্ত আরো ৬ লাখ ৫০ হাজার টন আমদানি করা হবে।
ইরানের মালয়েশিয়ান দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, ইরান ধারাবাহিকভাবে মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েল আমদানি বৃদ্ধি করছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ মোট আমদানির পরিমাণ ১০ লাখ টনের সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইরানে পাম অয়েলের চাহিদা ক্রমে বাড়ছে। ফলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মালয়েশিয়া ইরানের প্রধান পাম অয়েল সরবরাহকারী দেশে পরিণত হবে। এ সময়ের মধ্যে বার্ষিক আমদানি লক্ষ্যমাত্রা ১০ লাখ টনকে ছাড়িয়ে যাবে।
দূতাবাস জানায়, বর্তমানে ইরান মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ পাম অয়েল আমদানিকারক দেশ। মালয়েশিয়া থেকে পণ্যটি আমদানি বৃদ্ধিতে দেশ দুটির বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। এজন্য দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে যথাযথ সমন্বয় ও সহযোগিতা বজায় রাখা প্রয়োজন।
বিশ্ববাজারে পাম অয়েল রফতানিতে শীর্ষ দেশ ইন্দোনেশিয়ার পরই মালয়েশিয়ার অবস্থান। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের আকর্ষণীয় বাজার রয়েছে। তবে বর্তমানে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল ও পাম অয়েলজাত পণ্যের প্রধান রফতানি গন্তব্যে পরিণত হতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ইরান।
প্রসঙ্গত, ভারত বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল আমদানিকারক দেশ। চলতি বছরের জুনে ইন্দোনেশিয়াকে পেছনে ফেলে ভারতের শীর্ষ পাম অয়েল সরবরাহকারী দেশে পরিণত হয়েছে মালয়েশিয়া। গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়া বিশ্ববাজারে ২৪ লাখ ২০ হাজার টন পাম অয়েল সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে শুধু ভারতেই সরবরাহ হয়েছে ১৬ লাখ ৮০ হাজার টন। গত বছর শীর্ষ মালয়েশিয়ান পাম অয়েল আমদানিকারক দেশ ছিল চীন। ওই বছর দেশটি মালয়েশিয়া থেকে ২৭ লাখ ৩১ হাজার টন পাম অয়েল আমদানি করেছিল। এ সময় ভারত দেশটি থেকে আমদানি করেছিল ২৭ লাখ ২৭ হাজার টন।
