সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক

তদন্তের জেরে পদত্যাগ করেন বিল গেটস!

বণিক বার্তা ডেস্ক

এক কর্মীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্কের বিষয়ে সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছিল মাইক্রোসফট করপোরেশন। জানা যায়, প্রায় দুই দশক আগে বিল গেটস ওই কর্মীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় বাইরের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় প্রযুক্তি জায়ান্টটি। আর তখনই সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করে সরে আসেন বিল গেটস। খবর ব্লুমবার্গ।

কর্মীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নজরে আসার পর বোর্ড সদস্যরা তৃতীয় পক্ষ বা বাইরের একটি আইনি প্রতিষ্ঠান দ্বারা তদন্তের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সে সময় এর কোনো সমাধান হয়নি। কারণ তার আগেই বিল গেটস পদত্যাগ করেছিলেন।

এক বিবৃতিতে মাইক্রোসফট বলেছে, ২০১৯ সালে তাদের কাছে -সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান এক কর্মী। সে অনুযায়ী, ২০০০ সালে বিল গেটস কোম্পানির ওই কর্মীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তদন্ত চলাকালে পুরো সময় অভিযোগ উত্থাপন করা কর্মীর পাশে ছিল মাইক্রোসফট।

একটি সূত্র জানিয়েছে, এক নারী কর্মীর সঙ্গে বিল গেটসের অসংগত সম্পর্কের প্রমাণ পেয়েছিল পরিচালনা পর্ষদ। সে সময় সিদ্ধান্ত হয় যে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে পদত্যাগের কারণটি সম্পর্কে কিছু বলেনি মাইক্রোসফট।

যদিও গত বছর মার্চে বিল গেটস জানিয়েছিলেন, সমাজসেবায় আরো সময় দেয়ার জন্য তিনি মাইক্রোসফটের পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করলেন। সে সময় মাইক্রোসফট জানিয়েছিল, ২০০৮ সালের পর থেকেই গেটস প্রতিষ্ঠানে কম সময় দিতে শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে যুগ্মভাবে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠার পর ২০০০ সাল পর্যন্ত এর প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০০ সালেই বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানে কাজ শুরু করেন।

বিল গেটসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, মাইক্রোসফট থেকে পদত্যাগের সঙ্গে কোনো কর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর বিষয়টি জড়িত নয়। ২০ বছর আগে একটি সম্পর্ক ছিল, যা উভয় পক্ষের সম্মতিতে শেষ হয়েছিল। বোর্ড থেকে পদত্যাগের বিষয়টি কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়। এমন সময় গেটসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি প্রকাশ্যে আসে যখন মাইক্রোসফটে নারীদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হয়, তা নিয়ে আলাপ চলছে। আবার বড় শিল্প খাতে মি-টু আন্দোলন নিয়েও আলোচনা চলছে।

বিয়ের ২৭ বছর পর বিল মেলিন্ডা গেটস চলতি মাসের শুরুতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। সে সময় বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নারী পাচারসহ যৌন অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত জেফ্রি এপস্টাইনের সঙ্গে বিল গেটসের সম্পর্কের কারণেই বিচ্ছেদ। যদিও কারাগারে অবস্থানকালীনই জেফ্রির মৃত্যু হয়। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বেশ কয়েকবার জেফ্রির সঙ্গে দেখা করেন বিল। অবশ্য এসব অস্বীকার করেছেন বিল গেটসের মুখপাত্র। তার দাবি, বিল-মেলিন্ডার বিচ্ছেদ নিয়ে যেসব গুজব উঠছে তার বেশির ভাগই অযৌক্তিক।

এর আগে মার্কিন কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছিল, বিয়ের পরও সাবেক প্রেমিকা অ্যান উইনব্লান্ডের সঙ্গে নিয়ম করে দেখা করতেন বিল গেটস। বিষয়টি তিনি গণমাধ্যমের কাছে স্বীকারও করেছেন। তবে মাইক্রোসফট কর্মীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন