টানা তিন মাসের ধারাবাহিকতায় মার্চেও উৎপাদন খাতে চাহিদা বৃদ্ধির দেখা পেয়েছে জার্মানির উৎপাদন কেন্দ্রগুলো। করোনা সংক্রমণের কারণে চলমান লকডাউনের মধ্যে এ বৃদ্ধি উৎপাদন খাতকে পুনরায় সচল হওয়ার অংশ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর ব্লুমবার্গ।
এক জরিপে দেখা গেছে, মার্চে চাহিদার পরিমাণ ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা এ খাতের সংশ্লিষ্টদের পূর্বানুমানের তুলনায় দ্বিগুণ। দেশটির অর্থমন্ত্রী জানান, চাহিদা বৃদ্ধিতে মেশিনারিজ, ডাটা প্রসেসিংয়ের যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রিক্যাল ও অপটিক্যাল পণ্য এবং গাড়ি উৎপাদনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ছিল উল্লেখযোগ্য।
করোনা সংক্রমণের কারণে নিষেধাজ্ঞা থাকা অবস্থায় দেশের বাইরে ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে জার্মানির উৎপাদন খাত নিজেদের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ বাড়লেও সরবরাহ চেইনের সমস্যা এবং পণ্যের কাঁচামাল সরবরাহ নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
কভিড-১৯ মহামারীর কারণে প্রায় ছয় মাস জার্মানিতে দোকানপাট, রেস্তোরাঁসহ সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ ছয় মাসে দেশটির ব্যবসা খাত পুরো শূন্য হয়ে পড়ে। প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) জার্মানির অর্থনীতি ১ দশমিক ৭ শতাংশ সংকুচিত হয়, যা অর্থনীতিবিদদের ধারণার চেয়েও বেশি। মার্চে অভ্যন্তরীণ ও ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়াতেই মূলত জার্মানির উৎপাদন খাতে চাহিদার মাত্রাও বৃদ্ধি পায়।