মতবিনিময় সভায় কৃষিমন্ত্রী

যে অঞ্চলে যে ফসল ভালো হয় তার ওপর জোর দিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষিমন্ত্রী . মো. আবদুর রাজ্জাক অঞ্চলভিত্তিক কৃষি বহুমুখীকরণে এবং কৃষিকে আরো লাভজনক করতে মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের সব মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য এবং পুষ্টির জোগান দিতে সমন্বিত চাষ বাড়াতে আরো আন্তরিক হওয়ার পাশাপাশি কর্মকর্তাদের কৃষকদের কাছে যেতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে। যে অঞ্চলে যে ফসল ভালো হয়, তার ওপর জোর দিতে হবে। কৃষকের আয় বাড়াতে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ বাজারজাতকরণ বাড়াতে হবে। কৃষককে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নির্দিষ্ট ফসলের ভবিষ্যৎ চাহিদা বোঝাতে হবে। তবেই কৃষি-উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।

মন্ত্রী গতকাল চট্টগ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ হলে আয়োজিত চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি বান্দরবান জেলার কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নির্দেশনা দেন।

মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে কৃষি উৎপাদন আরো বাড়াতে ৭২৫ কিলোমিটার খাল খনন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষিকে আধুনিকীকরণ বহুমাত্রিক করতে ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের সুফল প্রান্তিক কৃষকের কাছে পৌঁছাতে হবে। প্রকল্পের সঙ্গে কৃষকের যোগাযোগ বাড়াতে হবে। কৃষি শুধু মানুষের খাদ্যের জোগান দেয় না, শিল্পের কাঁচামালেরও অন্যতম উৎস কৃষি। তাই কৃষিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। করোনা মহামারী মোকাবেলায় কৃষি অন্যতম সহায়ক খাত হিসেবে কাজ করেছে।

সভায় জেলাগুলোর আঞ্চলিক কর্মকর্তারা নিজ নিজ জেলার কৃষির বর্তমান অবস্থা, সমস্যা, সম্ভাবনা করণীয় তুলে ধরেন। তারা বলেন, দেশে পাহাড়ি এলাকা প্রায় এক-দশমাংশ। এসব পাহাড়ে প্রচলিত কৃষি পদ্ধতির পাশাপাশি অপ্রচলিত ফলের চাষাবাদ খুবই লাভজনক হবে। বিশেষ করে কাজুবাদাম, কফি ড্রাগন ফল উৎপাদনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে কাজুবাদাম কফির বাণিজ্যিক উৎপাদন করতে পারলে তা দেশের চাহিদা মিটিয়ে রফতানিও করা যাবে। ফলে অঞ্চলে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ উইংয়ের সরেজমিন পরিচালক একেএম মনিরুল আলম, হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, অতিরিক্ত পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হুদা, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক পবন কুমার চাকমা বক্তৃতা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন