‘মুজিব বর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’
প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী গতকাল সারা দেশে একযোগে ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করেন। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায়ও মুজিব বর্ষের ঘর পেল ১৫০ জন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা গতকাল মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে এ উপজেলার ১৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে ঘরের কবুলিয়ত দলিল, নামজারিপত্র ও গৃহ প্রদানের সনদ হস্তান্তর করেন। ২ শতাংশ জমির বন্দোবস্তসহ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুটি কক্ষ, একটি বারান্দা, রান্নাঘর ও ওয়াশরুম। মুন্সীগঞ্জ জেলায় আজ মোট ৫০৮টি ঘর হস্তান্তর করা হয়।
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর পরই জাতির পিতা দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন। গৃহহীন মানুষের জন্য গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধুকন্যা ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য যে নয় লাখ ঘর প্রদান করছে, তা সাধারণ মানুষের উন্নয়নে জনসেবার অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
গজারিয়া উপজেলার পরিষদ মিলনায়তনে ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, যুদ্ধকালীন থানা কমান্ডার মো. রফিকুল ইসলাম বীর প্রতীক, উপজেলা কর্মকর্তারা, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা ও উপকারভোগীরা।
