প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

গত ১৮ জানুয়ারি বণিক বার্তার প্রথম পাতায় প্রকাশিত সিলভার কম্পোজিটের অভিনব কারচুপি: আয় এক ব্যাংকে ৫০০ অন্য ব্যাংকে ৭৩৪ কোটি দেখানো হয়েছে! শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে সিলভার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। সিলভার লাইন গ্রুপের পাবলিক রিলেশন অফিসার আহসান রনি স্বাক্ষরিত প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, ওয়ান ব্যাংকের কাছে জমা দেয়া ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনটিই সিলভার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলসের চূড়ান্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন। কিন্তু ভুলবশত আইএফআইসি ব্যাংকের নিকট আলোচ্য হিসাব বছরের খসড়া আর্থিক প্রতিবেদনের ফটোকপি জমা দেয়া হয়, যা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত করণিক ভুল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) সিলভার কম্পোজিটের নিকট ব্যাখ্যা চাইলে সিলভার কম্পোজিট যথাযথ ব্যাখ্যা এফআরসিকে প্রদান করেছে।

সরকারের রাজস্ব ফাঁকি, ব্যাংক এনবিআরের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নেয়ার জন্য দুই রকম আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে মর্মে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সিলভার কম্পোজিট সরকারি নিয়ম অনুসারে আয়কর, ভ্যাট, আবগারি শুল্ক নিয়মিতভাবে পরিশোধ করে আসছে। কোম্পানিটি কোনো ব্যাংক থেকে কোনো ধরনের অনৈতিক আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেনি।

প্রতিবেদকের বক্তব্য: দুই ব্যাংকের কাছে ভিন্ন ভিন্ন আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেয়ার মাধ্যমে জালিয়াতির বিষয়টি এফআরসির তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি এফআরসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে। এফআরসির চিঠিতে কোম্পানি নিরীক্ষকের পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংক এনবিআরের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নেয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে দুটি নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন