বাজেটে বড় পরিবর্তন আসবে: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজেটে বড় পরিবর্তন আনা হবে। তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আমরা বেশ ভালো করছি। আমরা নতুনভাবে শুরু করবো। সরকারি পলিসি বা নীতিগত কারণে টাকা ‘কালো’ হয়। অর্থনীতিতে গতি আনতেই আমরা কিছু খাতে ‘কালো টাকা সাদা’ করার সুযোগ দিয়েছি। 

গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সবা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

বিশ্বব্যাংকের জিডিপির প্রক্ষেপণ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, একই বিল্ডিংএ বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ অবস্থান করছে। দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রক্ষেপণ দুই ধরনের। ফলে বিশ্বব্যাংক কী উদ্দেশ্যে এটি প্রণয়ন করেছে তার ব্যাখ্যা তাদের নিকট থেকেই নিতে হবে। মাসে মাসে তারা কেন পরিবর্তন করছে সেটিও তাদের নিকট থেকেই জানতে হবে।

আবাসন খাত নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আবাসন খাতে স্ট্যাম্প ফি ও ডিউটি বাড়তি থাকার কারণে কোনো রেজিস্ট্রেশন হয় না। ফলে সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। বাড়ি বিক্রি হচ্ছে অথচ দেখানো হচ্ছে না। আর বিক্রি যেখানে ১০ টাকা সেটা দেখাচ্ছে ১ টাকা। ১০ টাকার উপরে গেলে স্ট্যাম ডিউটি দিতে হয়, সেজন্য স্ট্যাম ডিউটি কমিয়ে দিয়েছি। এরকম যেখানে যেখানে হাত দেওয়া দরকার সেখানে সেখানে করেছি। সেগুলো করার কারণেই এখন কালো টাকা সাদা হচ্ছে। এরকম যেসব জায়গায় হাত দেওয়া দরকার সেখানে করেছি। সেগুলো করার কারণেই এখন কালো টাকা সাদা হচ্ছে। যেমন আমাদের পুঁজিবাজার, এটা সব দেশেই করে।

আস্তে আস্তে যদি এগুলো কমিয়ে আনতে না পারি তাহলে হবে না জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের সুদের হার অনেক বেশি ছিল। এত বেশি সুদহারে কোনো দেশে শিল্পায়ন হয় না। পাশাপাশি কোনদিন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় না। আমরা সেখানেও সফল, মোটামুটি আমরা যেটি করে দিয়েছি সেটা সবাই গ্রহণ করেছে। এখন যে ৬ শতাংশে ঋণ পাচ্ছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বিদেশে টাকা রাখলে উল্টো টাকা দিতে হবে। সেখানে লাভ পায় না, যদিও পায় সেটা এক থেকে দেড় শতাংশ। সেখানে আমাদের দেশে ৬ শতাংশ পাচ্ছে। এটা হলো আমাদের ইতিবাচক দিক। এটা আমাদের দেখতে হবে।

বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় আসার ২ বছর পূর্তি হলো, এটিকে কীভাবে মুল্যায়ন করবেন- এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, কতটা করলাম আর কতটা করতে পারলাম না সেটা মূল্যায়ন তো আপনারা করবেন। আমার কাজ হচ্ছে কাজ করা দেশ ও দেশের প্রতিটা নাগরিকের জন্য। আমাদের আমদানি কমে গেছে, যদি আমদানি বেশি থাকতো তাহলে আমাদের ডিউটি বাড়তো। আমাদের আয়করের হার ভালো আছে। তুলনামূলক আমরা অনেক দেশের থেকে ভালো আছি বলেও জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন