ভ্যাকসিন ক্রয়সহ নতুন ৬টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এরমধ্যে ‘কভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড পেন্ডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে। এ প্রকল্পে নতুন করে ৮ শ্রেণির মানুষকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেয়ার মতামত দেয়া হয়েছে, সেখানে থাকছে দেশের এতিমখানাগুলোও।
আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
প্রকল্পটি অগ্রাধিকারভিত্তিতে ভ্যাকসিনের জন্য যে ৮ শ্রেণিকে নতুন করে যুক্ত করতে পরিকল্পনা কমিশন মতামত দিয়েছে, তারা হলেন-
• প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য
• শ্রমঘন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক বা কর্মী
• শ্রমঘন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক বা কর্মী
• হাটবাজারের স্থায়ী বা অস্থায়ী ব্যবসায়ী ও কর্মচারী
• এতিমখানা
• সবধরনের পরিবহন শ্রমিক এবং
• বিদেশগামী ও বিদেশফেরত সকল ব্যক্তি (রেমিটেন্স কর্মীসহ)।
এদিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত খসড়া অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছেন যারা-
• কভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী
• আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
• বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মজীবী
• সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী
• নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি
• জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মী, ধর্মীয় প্রতিনিধি
• বন্দর সমূহের কর্মী
• অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সাথে জড়িত কর্মীগণ
• ব্যাংককর্মী
• স্বল্প বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠি এবং
• এফডিএমএন ক্যাম্পে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী ইত্যাদি।