ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় চরের মানুষের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে সব অংশীজনকে। পিছিয়ে থাকা চরাঞ্চলকে উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) চরের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ দিতে হবে।
গতকাল ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স এবং সমুন্নয় আয়োজিত ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: চরাঞ্চলের প্রস্তুতি’
শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের (এসডিসি) অর্থায়নে পরিচালিত ‘আলোকিত চর’
প্রকল্পের আওতায় এ অনলাইন কর্মশালা আয়োজিত হয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন এক্সপ্রেস লেদার প্রডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজি জামিল ইসলাম এবং মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও সমুন্নয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমান।
চরাঞ্চলে মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে এমন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম কর্মীরা কর্মশালায় অংশ নেন।
ড. আতিউর রহমান তার নিবন্ধে চরের জীবনমানের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের যে পার্থক্য তা তুলে ধরে বলেন, মহামারীর আগেই পিছিয়ে থাকা চরাঞ্চল অর্থনৈতিক স্থবিরতার ফলে আরো বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে। তাই জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিশেষ করে বাজেটের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে চরাঞ্চলের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রকল্প প্রণয়ন করা জরুরি।