২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাস

পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৩৯.৫২%

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবির) বরাতে আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

দেশের পাটখাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বাস্তবমুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও  বাস্তবায়ন ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এখাতের অবদান আরো বাড়ছে এমন তথ্য উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাট চাষীদের উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি পাট শিল্পের সম্প্রসারণে সবধরনের সহায়তা প্রদান করছে। পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও আধুনিকায়নের ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন,২০১০, ‘পাট আইন, ২০১৭’, ‘জাতীয় পাটনীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সকল আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সবশেষ তথ্য মতে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) বাংলাদেশ ৪৩ দশমিক ৮৭ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করেছে। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। আর তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি।


এছাড়াও, চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সরকার মানসম্মত পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে পাট অধিদপ্তরের আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি জুলাই, ২০১৮ হতে মার্চ ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাটচাষের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে চাষীদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। এছাড়াও গুণগত মানসম্মত পাট ও পাটবীজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ৩৯০ মে. টন পাট বীজ বিনামূল্যে বিতরণসহ সবধরণের সহায়তা অব্যহত রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন