কভিড-১৯: এনবিআরে আক্রান্ত ১৪৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী, মৃত্যু ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৪৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন তিনজন। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই এই কর্মকর্তারা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এতো বেশি সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে, সামাজিক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ও সুরক্ষা সামগ্রীর সংকট।

এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত এনবিআরের ৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মারা গেছেন, আর সুস্থ হয়েছেন৭৮ জন। সে হিসেবে সুস্থতার হার ৫৩ শতাংশেরও বেশি। আর যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই কাজে যোগ দিয়েছেন। 

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুলাই পর্যন্ত কাস্টমস-ভ্যাট বিভাগের যে ১৪৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, এর মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন। 

আক্রান্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ১ জন, ঢাকা কাস্টম হাউসের ১ জন রাজস্ব কর্মকর্তা। এই মৃত্যুর তালিকায় অপর একজন যিনি রয়েছেন তিনি হলেন, ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটের গাড়ির চালক।

এদিকে এই ১৪৭ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে ৩১ জন, ঢাকা কাস্টম হাউজে ১৪ জন, ঢাকার আইসিডি কমলাপুরে ৬ জন, চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটে ৩ জন, ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটে ৫ জন, ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেটে ৪ জন, ঢাকা পূর্ব ভ্যাট কমিশনারেটে ৪ জন, রংপুর ভ্যাট কমিশনারেটে ১ জন, সিলেট ভ্যাট কমিশনারেটে ১৯ জন, ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে ১২ জন, চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনারেটে ৩ জন, কাস্টমস গোয়েন্দায় ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। 

এছাড়াও এনবিআরের একজন ডেপুটি কমিশনার ও একজন উচ্চমান সহকারী, ভ্যাট গোয়েন্দায় ১ জন সিপাহী ও ১ জন চালক, মোংলা কাস্টম হাউসে ৪ জন, কুমিল্লা ভ্যাট কমিশনারেটে ১ জন, চট্টগ্রাম কাস্টমস ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমিতে ১ জন, যশোর ভ্যাট কমিশনারেটে ৪ জন, পানগাঁও কাস্টম হাউসে ২ জন, রাজশাহী ভ্যাট কমিশনারেটের ২ জন, আপীল-১ এর ১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

এদিকে কাস্টমস মূল্যায়ন ও নিরীক্ষা কমিশনারেটের কমিশনার ও ক্যাশিয়ার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) ১ জন রাজস্ব কর্মকর্তা ও ১ জন উচ্চমান সহকারীসহ আপীলাত ট্রাইব্যুনালে ১ জন ডেপুটি কমিশনার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এনবিআরের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। 

এছাড়া সংগঠনটি তাদের সদস্যদের সুবিধার জন্য ঢাকার কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছে। যাতে সদস্যরা সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা নিতে পারেন। এই সংকট যতদিন চলবে ততদিন এই সুবিধাও চলমান  থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন