কভিড-১৯

দেশে সর্বোচ্চ ৪২ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ২৭৪৩

বণিক বার্তা অনলাইন

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৪২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এটিই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে ৩১ মে সর্বোচ্চ ৪০ জন মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৮৮ জনে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন আরো দুই হাজার ৭৪৩ জন। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৫ হাজার ৭৬৯ জনে।

আজ রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

দেশের ৫২টি পিসিআর ল্যাবে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১২ হাজার ৮৪২টি। আগের দিনের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ১৩৬টি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৭টি।

দেশে এখন করোনার নমুনা পরীক্ষায় মোট ল্যাব ৫৫টি। ঢাকায় সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার এবং গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষায় নতুন দুটি ল্যাব যুক্ত হয়েছে বলে জানান নাসিমা সুলতানা। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জামালপুরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ এবং ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৭৮ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হলেন ১৩ হাজার ৯০৩ জন।

দেশে ভাইরাসটিতে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ, তবে আজ শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার জানানো হয়নি।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৪২ জনের মধ্যে ৩৫ পুরুষ এবং সাতজন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের সাতজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের নয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের তিনজন এবং নব্বই ঊর্ধ্ব একজন।

এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ২৭ জন, চট্টগ্রামের বিভাগের আটজন, সিলেটে দুজন, রাজশাহীতে দুজন, খুলনা বিভাগে দুজন এবং ময়মনসিংহে একজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন ১২ জন।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে। জন্স হপকিন্সের আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল পর্যন্ত এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ লাখেরও বেশি। আর মৃতের সংখ্যা চার লাখেরও বেশি। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে ৫০ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে খুব দ্রুত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন