রাজধানীর গাবতলীতে নির্বাচনী প্রচারণা সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় নির্বাচনী প্রচারণায় থাকা কয়েকজন ‘সামান্য আহত’ হয়েছেন, তাবিথের মাথাতেও কিছুটা আঘাত লেগেছে বলে জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা। তবে তিনি প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টার দিকে ওই এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। এসময় পেছন থেকে হঠাৎ করেই ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন কয়েকজন। ইটের টুকরো তাবিথের শরীরেও এসে পড়ে, এসময় আহত হন তাবিথের সঙ্গে থাকা কয়েকজন প্রচারকর্মী।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমে তাবিথ বলেন, ‘হামলা করে থামানো যাবে না, ভয় দেখানো যাবে না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমাদের যে গণসংযোগ, তা হামলা করে পিছিয়ে নেওয়া যাবে না।’
‘হামলা’র পর দুপক্ষকেই সরিয়ে দেয় পুলিশ। ছবি: মারুফ রহমান
বিএনপির এই প্রার্থী দাবি করেন, তাকে টার্গেট করেই পেছন থেকে হামলা করা হয়েছে। পুলিশের সামনেই এই হামলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাবিথ বলেন, ‘আমাদের ওপরে হামলা কিছু পুলিশ কর্মকর্তার সামনে হয়েছে। যিনি হামলা করেছেন তাকে চেনেন তারা (পুলিশ)। এই এলাকার আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী তিনি।’
তিনি বলেন, ‘এখানে অভিযোগ করার কিছু নাই। এখন দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা দায়িত্ব পালন করেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।’
তবে বিএনপি প্রার্থীর ওপরে হামলার ঘটনা অস্বীকার করে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সেখানে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। দুইপক্ষ মিছিল করার সময় হাল্কা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে দুই পক্ষকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ঘটনার পর ওই এলাকা ত্যাগ করে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে চলে যান তাবিথ ও তার সঙ্গে থাকা কর্মী-সমর্থকেরা।
এসময় তাবিথের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমুদ্দিন আলম প্রমুখ।