মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে ২২ জানুয়ারি চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। রাজধানীর উত্তরা, যাত্রাবাড়ী ও আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে প্রথমে চালু হবে এ কার্যক্রম। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে তা দেশের সর্বত্র চালু হবে। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আগামী বুধবার ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমে উত্তরা, যাত্রাবাড়ী ও আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে এ কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে তা দেশের সর্বত্র চলে যাবে। আবেদনপত্র ডাউনলোডের পর পূরণ করে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে ছবি ও সত্যায়িত কিছু লাগবে না। পাঁচ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ এবং ৬৪ পাতার ই-পাসপোর্ট ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ভিন্ন ফিতে পাওয়া যাবে। অতি জরুরি দুই দিনে, কম জরুরি সাত দিন ও ১৫ দিনে এ পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় ই-পাসপোর্ট করার গৌরব এখন একমাত্র বাংলাদেশের। এটি মুজিব বর্ষের উপহার।
একে একে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছিলেন, বাংলাদেশ হবে ডিজিটালাইজড। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো লেগেছিল। আজ এর সুফল সবাই পাচ্ছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরের মধ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) কার্যক্রম শেষ করার কথা থাকলেও তা অনেক আগেই হয়েছে। আমরা সবার কাছে এমআরপি পৌঁছে দিয়েছি।
তিনি বলেন, ই-পাসপোর্ট চালু হলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে মেশিনে একজন ব্যক্তির প্রকৃত তথ্য মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যাচাইয়ের সুবিধা রয়েছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে এ কাজ করছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গাদের ডিজিটালাইজড আইডি কার্ড দেয়া হয়েছে। সেটির নিবন্ধন রয়েছে। কাজেই তথ্য গোপন করে কোনো রোহিঙ্গার ই-পাসপোর্ট গ্রহণের সুযোগ নেই। তার পরও রোহিঙ্গারা যদি বিভিন্ন ধরনের ফাঁক-ফোকরের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট করতে যায়, তাহলে বিভিন্ন প্রশ্নে তারা ধরা পড়বে। ই-পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে, তবে বিভিন্ন ধরনের নাজেহাল এড়াতে এটি অনলাইনে করার চেষ্টা করছি যেন অতীতের তুলনায় সহজ হয়।